পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> oԵ গ্রীক ও হিন্দু । করিবার কথা । কালে লোকবৃদ্ধি সহকারে, তাহ ষে আরও বিস্তার প্রাপ্ত হইবে, তাহা এক প্রকার অবশ্যম্ভাবী । অভাবতাড়নায়, এই বাণিজ্যের নিত্য প্রয়োজন । সুতরাং গ্রীসের ন্যায় দুর্গম স্থলপথ দিয়া ইহা নিত্য সমাধা করা, ক্রমে যেমন অতিশয় কষ্টকর হইয়া উঠে ; তেমনি অন্য দিকে মুগম সমুদ্র সৰ্ব্বদা প্রলুব্ধ করিতে থাকে। যেখানে দৃষ্টির এক দিকে ক্লেশ ও অন্য দিকে সুবিধা বর্তমান সেখানে মানবচিত্তের উদ্ভাবনী শক্তি সুবিধাকে আয়ত্ত করিবার নিমিত্ত, স্বতঃই উপায় উদ্ভাবনে তেজস্বিনী হইয়া থাকে । কাজেই বাণিজ্য-প্রবর্তনীর অতি অল্পকাল পরে, গ্রীকদিগের মধ্যে সমুদ্রগমনাগমনের আরম্ভ হয়। এই নিমিত্ত, ইতিহাসের উদয়সময়ে অতি প্রাচীন কালেই আমরা দেখিতে পাই যে, গ্রীকেরা সমুদ্রগমনাগমন পক্ষে পারদর্শিতা লাভ করিয়া, স্বদেশের সীমাতিক্রমে অনেক দূরস্থানে যাতায়াত করিতে আরম্ভ করিয়াছে। হিন্দুদিগের প্রাচীনতমগ্রন্থাবলীতে যদিও সমুদ্রযাত্রার উল্লেখ মাঝে মাঝে দেখিতে পাওয়া যায় বটে, কিন্তু হিন্দুদিগের সেই সমুদ্রযাত্রা যে গ্রীকদিগের ন্যায় সমপুষ্ণতাসম্পন্ন ছিল, এরূপ কোন মতে অনুমিত হয় না । গ্রীকদিগের সমুদ্রযাত্রার পুষ্টতাও আপেক্ষিক মাত্র। নতুবা গ্রীকেরাই ষে সেই ইতিহাসের উদয়কালে, সমুদ্রযাত্রার পক্ষে একবারে অতিশয় দূরদর্শিতা লাভ করিয়াছিল, তাহা নহে ; যেহেতু দেখা যায় যে, হোমারের সময়েতেও, গ্রীকদিগের জাহাজের আকৃতি অতি সামান্ত ছিল এবং সন্নিকটস্থ দ্বীপ ও আসিয়ামাইনরের উপকূলবৰ্ত্তী স্থান, সকলে মাত্র, সে সকল জাহাজ যাতায়াত করিতে পারিত ; কৃষ্ণসাগরের পাশ্বস্থ স্থান সকল পরিজ্ঞাত ছিল না এবং মিসর প্রায় জনশ্রুতিতে পরিজ্ঞাত ছিল মাত্র । কিন্তু যে কোন বিষয় হউক, নিয়ত ব্যবহারে