পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩২ গ্রীক ও হিন্দু । কারণ ও উপাদান ভাবে পরিণতিপূৰ্ব্বক, উত্তরোত্তর নবকাৰ্য্য উৎপাদনে প্রধাবিত হয় । কিন্তু বাঞ্ছারাম, তুমি অর্থাৎ তোমার শয়তানী ভাঙ্গিলে, তোমার, নিবৃত্তি ঐ খানেই ! তোমার ও তোমার নূতন স্থষ্টর এরূপ নুতন পরিণাম ও ফল ন হইলে মানাইবে কেন ? শয়তানী মিথ্যাস্থষ্টি, এবং মিথ্যা যাহা তাঙ্গ নিজ সাক্ষ্যতেই অস্তিত্বশূন্ত। মিথ্যায় কাৰ্য্যহানি ; পুনঃ তাঁহা উত্তর কাৰ্য্যের বাধক ও বিঘ্নকারক বলিয়াই নিন্দনীয় ও পাপমধ্যে গণিত হইয়া থাকে। অতএব কাৰ্য্যমাত্রের কারণ-শরীর পূৰ্ব্বগামী বা পূর্বের্গম্ভব। এই মহা-জীবনের পরিদৃশুমান বিকাশ ধরিতে গেলে, উহা বিধাতুনিয়ােজিত কতকগুলি কাৰ্য্যসমষ্টি ভিন্ন আর কিছুই নহে। এই কাৰ্য্যসমষ্ঠি যে কারণ-শরীরসমষ্টির বিকাশ ও বাহপ্রচার স্বরূপ, তাহাই সম্মিলিত মূৰ্ত্তিতে প্রকৃতপক্ষে মনুষ্যের ধৰ্ম্মতত্ত্ব। এই ধৰ্ম্মতত্ত্ব, উপরে এক স্থানে বলিয়া আসিয়াছি যে, বাহ্যজগতের সহিত মানব প্রকৃতির সংস্ৰৰসংঘটনে গুরুতম দৃষ্টি প্রসারণফলে উদ্ভত হইয়া থাকে। ইহার পারলৌকিক দিকে যে দেবতত্ত্ব, এবং লৌকিক দিকে যে যাগযজ্ঞ ও পূজা প্রকরণাদি, তাহ ধৰ্ম্মভাবের তত্ত্বৎদিকস্থ কেবল সজিক্ষপ্ত বা সঙ্কেতলিপি মাত্র । সঙ্কেত বস্তু ষে প্রকারের, তাহার সম্প্রসারণ-বস্তুও তদ্রুপ হইয়া থাকে। সে যাহা হউক, ধৰ্ম্মতত্ত্ব মনুষ্যের আত্মিক জীবনের সম্পত্তি এবং কাৰ্য্যসমূহ ভৌতিক বা সাংসারিক জীবনের সম্পত্তি। পরস্পর উভয়কে উভয় অবলম্বন করিয়া অবস্থিত করে। অতএব যে মানুষের ধৰ্ম্মবুদ্ধি যেমন, তাহার কার্ষ্যসমূহও সেইরূপ হইয়া থাকে। পুনশ্চ, মূল ব্যতীত কোন বস্তুর উৎপত্তি বৃদ্ধি বা স্থিতি হয় না ; সুতরাং ধৰ্ম্মতত্ত্বও মূলশূন্ত হইতে পারে না ; অতএব এই ধৰ্ম্মতত্ত্ব ষে পরিমাণে ও যেরূপ ধারণাযোগে মূলক্সপী ঈশ্বরে সংলগ্ন