পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় প্রস্তাব । ఇ ఉరి এবং যে পরিমাণে সৰ্ব্বালোক-উৎসের আলোকে আলোকিত, তাহা সেই পরিমাণে দৃষ্টি-সংস্কৃত : সুপরিমাণে হইলে দৃষ্টি সম্মুখে বহুদূর প্রসারিত হওয়াতে, দৃষ্টিফল দীর্থগতি প্রাপ্ত হয়। পুনশ্চ, ধৰ্ম্মতত্ত্ব যে পরিমাণে ঈশ্বর হইতে সংলগ্নতা বিচ্যুত, তাহ সেই পরিমাণে দৃষ্টিশূন্ত, ভ্রমসংযুক্ত এবং মিথ্যায় আবরিত ; মুতরাং অল্প গণ্ডিতেই বিকৃতি ও বিলোপ প্রাপ্ত হইয়া থাকে। অনেক বিগ্রহের বিশ্বাস, ঔদ্ধদেশিক শক্তিকে আশ্রয় না করিলেও মনুষ্য-সমাজ সচ্ছন্দে চলিতে পারে। পারিত বটে, যদি মানব হিতাহিতজ্ঞানশূন্ত এবং পশুবৎ ক্ষু মনীষাযুক্ত হইত। কিন্তু মানুষ হইয়া ও কথা বলিলে চলিবে না ; যেহেতু মামুযে রক্ষকারক ও নিৰ্ম্মায়ুক বুদ্ধিবৃত্তি যতটা, ধ্বংসকারক বুদ্ধিবৃত্তি তদপেক্ষা অধিক বই কম দেখা যায় না। কেবল ঔদ্ধদেশিক বাধকতাতেই সেই ধ্বংস-কারক বুদ্ধি দমিত ও উপশমিত হইয় থাকে ; তাঙ্গ যদি না হইত, তাহা হইলে মানববংশ এতদিন উৎসর হইয়া যাইত। এত বাধাবাধি সত্ত্বেও, সংসারে কোন প্রকার বুদ্ধির অধিক্য দেখিতে পাইয়া থাকে, বল দেখি ? সত্য স্বরূপ ঐশ্বরিক সত্তার অবলম্বন ভিন্ন, কোন বস্তু স্বল্প হইতে বা তিষ্ঠিতে পারে না । মিথ্যায় স্বষ্টি করিতে বা রক্ষা করিতে পারে না ; মিথ্যায় কেবল পগু বা বিরুত বা তমসাবৃত করিয়া থাকে মাত্র। সেরূপ মিথ্যা বিশ্বাসবিনোদক সমাজতত্ত্বকে তথাপি যে কখন কখন ক্ষণমাত্র তিষ্ঠিয়। থাকিতে দেখা যায়, তাহার কারণ, সেখানেও, যদিও মিথ্যার দ্বারা বিকৃত বটে, কিন্তু সত্যসত্তার অবলম্বন এখনও একেবারে পরিত্যক্ত হয় নাই ; নতুবা সেরূপ তিষ্ঠান মিথ্যার নিজ শক্তিবশতঃ কথনষ্ট হইতে পারে না। অতএব ঐশ্বরিক সত্তার অপেক্ষ না রাথিয় যে, সেসমাজতত্ত্ব নিৰ্ম্মিত হইয়া তিষ্ঠিতেছে,ইহা যথার্থনহে ; সত্তা সেখানে মিথ্যা আবরণে