পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>や9 औक ७ श्लूि । যাহাঁকে প্রাকৃতিক কৰ্ম্মস্থত্র, প্রাকৃতিক নিৰ্ব্বাচন ও প্রাকৃতিক ক্রিয়া, এই সকল নামে উপরে আখ্যাত করা গেল ; সেই উপরেই আভাসিত হইয়াছে যে, তাহার নিগুঢ় মূলানুসন্ধান করিলে দেখিতে পাওয়া যাইবে যে, উক্ত কৰ্ম্মস্বত্র বস্তুতঃ নিয়ন্ত-নিযুক্ত নিয়ম এবং প্রকৃতি স্বয়ং তাহার বাহ প্রচারমাত্র। যেহেতু উদ্দেভ হইতে নিয়মের উদ্ভব ; অতএব নিয়মরূপী কৰ্ম্মস্বত্র সেই উদেশ্ব অনুরূপ কাৰ্য্যসাধন জন্যই গতিশীল হইয়া থাকে। পরমেশ্বরের কোন পরম উদ্দেশু, এই বৈরাজরূপ মহাপ্রকৃতির সর্বত্র বাহ্যাভ্যন্তরপরিচালিতভাবে দেদীপ্যমান রহিয়াছে। সুতরাং এখন বলা বাহুল্য ষে, কেবল ব্যক্তিগত মানবজীবন নহে, সমগ্র মানবীয় জীবন-সমষ্টিও অখণ্ডিত একত্বভাবে নিয়ুস্তু-সম্ভব কোন মহত্বদেশু সাধনের নিমিত্ত কথিত কৰ্ম্মস্থত্রবশে যথানির্দিষ্ট পথে অবিরত গতিশীল হইয়া ছুটিয়াছে। সেই মহৎ উদ্দেশ্যের বিভিন্ন ভাবযুক্ত বিভিন্ন দিক্‌ বা অংশসমূহের ক্ৰম-পূর্ণতা সাধন করিয়া, সম্পূর্ণ পূর্ণতামুথে আনয়ন করিবার নিমিত্ত, মানবীয় জীবনসমষ্টি তত্তত অংশসংখ্যা অনুসারে খণ্ডে খণ্ডে খণ্ডিত হইয়া, কাৰ্য্যক্ষেত্রে প্রবিষ্ট হইয়াছে। জীবনসমষ্টির উক্ত খণ্ডসমূহের প্রতিখণ্ড, এক একটি বিভিন্ন জাতীয় জীবন। যেমন জাতীয় জীবন যাহারা অনুসরণ করে বা করিতে বাধ্য, তাহদের যে সমষ্টি তাহীকে তন্নামযুক্ত জাতি বলা যায়। এই জাতিসমূহের মধ্যে যে যেমন কৰ্ম্মক্ষেত্রে প্রবেশ করিয়া থাকে এবং প্রাকৃতিক কৰ্ম্মস্থত্র তাহীদের যাহাকে যেমন পরিচালনা করিয়া লইয়া ফিরে, তাহারা তদনুরূপ বিভিন্ন প্রকৃতি ধারণ করিয়া, অন্ত হইতে আপন পৃথকত্ব জ্ঞাপন করিয়া থাকে। পুনশ্চ আপন আপন কৰ্ম্মক্ষেত্রস্থ আদিষ্ট কাৰ্য্য হইতে মাহীতে বিচলিত হইয়া পলাইতে না পারে, কথিত কৰ্ম্মস্থত্র তৎপক্ষে