পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম প্রস্তাব । ➢ ግ একরূপ নিগড়স্বরূপ। প্রকৃতি তাহার অনন্তবিশ্রুতস্বরে নিরন্তর এই ঘোষণা করিতেছে যে, তুমি যে কাৰ্য্যক্ষেত্রে উদ্ভূত হইয়া জীবন প্রাপ্ত হইয়াছে, সৰ্ব্বাস্তঃকরণে স্বীয় মানবীয় কৰ্ম্মস্থত্র অর্থাৎ পুরুষকারের পরিচালনে, সেই কাৰ্য্যক্ষেত্রের অনুসরণ কর; যেহেতু তজ্জন্তই তোমার উৎপত্তি। স্বীয় জাতীয় কৰ্ম্মক্ষেত্রে স্বধৰ্ম্ম অবলম্বনেই মঙ্গলের সম্পূর্ণত। প্রাপ্তি হইয়া থাকে, ইহা স্থিরনিশ্চয় বলিয়া জানিবে। নতুবা যদি ব্যতিক্রমে বিধৰ্ম্মী হও, তবে ব্যতিক্রমের পরিমাণ অনুসারে ক্রমধ্বংস প্রাপ্ত হইতে থাকিবে ; ধ্বংস ভিন্ন তোমার গত্যন্তর নাই। অতএব কখনও তাহ করিও না, আত্মকৰ্ম্মক্ষেত্র ও স্বধৰ্ম্মবোধে প্রবুদ্ধ হও, হইয়া সেইরূপ আচরণ কর । আৰ্য্য হিন্দুসস্তান ঘুচিয়া, অযশস্কর চুনোগলি-সাস্কৰ্য্য খ্যাত ফিরিঙ্গীসন্তান হইও না । অতএব এ সংসারক্ষেত্রে সমগ্র মানবজাতির মধ্যে, প্রত্যেক জাতিরই নিয়ন্ত কর্তৃক এক একটি কৰ্ম্ম নিয়োজিত আছে। এজন্ত যতক্ষণ যাহার নির্দিষ্ট কাৰ্য্য সাধন না হুইবে, ততক্ষণ তাহার কেহই ফেলিবার পাত্র নহে ; ফেলিবার সময় হইলে তোমাকে আমাকে তজ্জন্ত ক্লেশ পাইতে হইবে না, তাহারা আপনা হইতেই যথাকর্মস্থত্রানুগত উত্তরাধিকারিবর্গকে স্থান দিয়া কৰ্ম্মক্ষেত্র হইতে অপস্থত হইবে । পুনশ্চ, কাৰ্য্যফল যাহার এবং যাহার আজ্ঞায় কাৰ্য্যের আরব্ধ, তাহার, নিকট সকল কৰ্ম্মকারকই সমান যত্ন ও আদরের বিষয়ীভূত। এক্ষণে এই কথাগুলি মনে রাখিয়া জাতীয় জীবন সমালোচন করিলে, ইহাই আলোচ্য এবং দ্রষ্টব্য কেবল দেখিতে হইবে যে, কোন জাতি কিরূপ কৰ্ম্মক্ষেত্রে প্রবেশ করিয়াছিল ; কৰ্ম্মক্ষেত্রের প্রকৃতি হইতে যতদুর উপলব্ধি হয়, তদনুসারে তাঁহাদের প্রতি নির্দিষ্ট কৰ্ত্তব্য কাৰ্য্য কি ; এবং তাহার সেই কাৰ্য্যসমাধায় কতদূর অগ্রসর ૨