পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় প্রস্তাৰ । २२é অলস্তর কোন ধর্ম কিরূপ শ্রেষ্ঠ, তদালোচনায় একটা প্রধান পরিচয় ধৰ্ম্মের ধাৰ্ম্মিকতাবিধায়ক শক্তিতে। আবার ধাৰ্ম্মিকতাবিধায়ক শক্তিকে উপলব্ধি করিবার প্রধান উপায়, ধৰ্ম্মশিষ্যগণের প্রকৃতিপৰ্য্যালোচনে । তত্ত্ব এবং নীতি, অল্পবিস্তর সকল ধর্শেই আছে ; কিন্তু ভিত্তি উপলক্ষ্য এবং প্রয়োগ-প্রকরণ, এ সকলের তারতম্য ও বিভিন্নতা হেতু, কোথাও বা তাহ বর্ণমালার বর্ণযোজনা মাত্র, আর কোথাও বা জীবন্ত শক্তিস্বরূপ হয় । মনে কর, কোন একটা নীতিবিশেষ, একদিকে স্কুলপণ্ডিত এবং আর দিকে হিন্দুগুরু, উভয়ই আপন আপন শিষ্যকে শিক্ষা দিতেছে । এখন সে শিক্ষার ফল ফলিল কি ? দূর ফল যাহা হউক, আপাততঃ নিকট ফলেই দেখা যায় যে, একদিকে পণ্ডিতমহাশয়ের টকি লইয়া টানাটানি ; স্বার দিকে গুরু দেববৎ পূজিত ! অথবা সৰ্ব্বভূতে সমদৃষ্টি, এক গালে চড় খাইলে আর গাল পাতিয়া দিতে হয়, অর্থ নশ্বর এবং তুচ্ছ, ইত্যাদি। এ সকল বাইবেলও শিক্ষা দিতেছে এবং হিন্দুশাস্ত্রও শিক্ষা দিতেছে । কিন্তু ফলের বেলায় ? বাইবেলশিষ্যের পৃথিবী মথিয়া, নানা দিগেদশ লুটিয়া এবং জাতিসঙ্ঘের স্বাধীনতা-রত্ন হরিয়াও উদর পুরে না ; আর শাস্ত্রশিষ্য ঘরের পুজী স্বচ্ছন্দে পরকে বিলাইয়া, সৰ্ব্বভূতে নিৰ্ব্বৈরতাসহ বন্tশ্রম অবলম্বন করিয়া থাকে। এখন কাজেই বলিতে হয় মে, এ কেতে শিক্ষাগুলি বর্ণমালায় বর্ণযোজনা মাত্র ; অপরে তাহা জীবন্ত শক্তি। এই জীবন্ত শক্তি যে যে ধর্শ্বে যত পরিমাণে অধিক, সেই পরিমাণে সে ধৰ্ম্মের সত্যতা এবং শ্রেষ্ঠত উভয়ই জ্ঞাপিত হয় । এখন এই জীধস্ত শক্তি লইয়া ধরিলে, নিতান্ত বিপক্ষ যে, তাহাকেও স্বীকার করিতে হইবে যে, কি প্রাচীন কি আধুনিক, যে Y &