পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ প্রস্তাৰ । ه به যে পদার্থভ্ৰম, সেই সকলে, হিন্দু অদ্বৈতবাদ ও মায়াতত্ত্ব যেন বহুলাংশেই প্রতিবিম্বিত হইয়াছে। তৃতীয়তঃ, প্লেটো বলিতেছেন যে, পরমেশ্বরের মনে যে আদর্শ বর্তমান এবং নিত্যভাব যাহার প্রতিরূপ, জননভাব প্রভাবে স্বষ্টি তদনুকরণে প্রকাশমান হইতেছে। এখানেও সাদৃশ্য যথেষ্ট। কি সমষ্টি কি ব্যষ্টি উভয় ভাবেই, আত্মায় অনও সংস্কারের বিদ্যমানতা ; সেই সংস্কারের যখন যাহা মায়াশক্তিতে যেরূপে প্রতিবিম্বিত হয়, তখন সেইরূপেই স্থষ্টিপ্রপঞ্চ প্রকাশমান হইয়া থাকে। আত্মিক সত্তাই সত্য এবং তাহ একমাত্র বিবেক ও বুদ্ধিজাত জ্ঞানের দ্বারা জ্ঞেয়, মায়িক সত্তা তাহার বিপরীত। আমি প্লেটোর তত্ত্ব যতদূর বুঝিয়াছি, তাহাতে জগদাত্মাই যেন থওরূপে জীবাত্মা । হিন্দুতত্ত্বেও তাহাই ; পরমাত্মা, সমর্থ বা অদ্বৈত মূৰ্ত্তিতে জগদ্ব্যাপনশীল বিষ্ণুমূৰ্ত্তি এবং তাহার ব্যষ্টিভাব যাহা, তাহাই মায়িক আবরণে প্রকাশিত হইয়া থাকে। -: এখানে একটা কথা আছে । অদ্বৈততত্ত্ব নাম শুনিলে অনেকেই চম্কাইয়া উঠে এবং কেবল চম্কাইয়া ক্ষাপ্ত নহে, অধিকন্তু উহাকে নাস্তিকতারও কাছাকাছি বলিয়া মনে করিয়া থাকে। তাহদের ধারণা এই যে, জীব ও ঈশ্বর যে এক, এ কথা অতি অশ্রদ্ধেয় । আরও বলিয়া থাকে যে, জীব ও ঈশ্বর যদি এক হইল এবং সেই একেতেই গিয়া যদি জীবাত্মা শেষে লয় পাইল, তবে জীবাত্মার থাকা না থাকা উভয়ই ‘তুল্য হইয়া দাড়াইল। কথাটা উঠিয়াছে অতি গুরুতর, দুই চারি কথায় বলিবার বিষয় নহে ; অথচ কিন্তু আমারও এখানে দুই চারি কথার অধিক বলিবার সময় ও স্থান উভয়ই নাই । আমার বোধ হয়, অদ্বৈতবাদ সম্বন্ধে লোকের এরূপ ধারণা,অদ্বৈততত্ত্ব ভাল করিয়া না বুঝিবার ফল মাত্র । অদ্বৈততত্ত্ব প্রকৃত পক্ষে অন্ত