পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ প্রস্তাব। ኟፃፃ বাসনা যে, মৃত্যুর পরেও তিনি পরলোকে গিয়া পার্থিব জীবনকালীনের স্যায়, জ্ঞানমূঢ়দিগকে বিধ্বস্ত করিয়া তাহাদিগকে মুজ্ঞান প্রদান - করেন । (৩১) এক্ষণে মনুষ্যজীবনের উদ্দেশ্য কি ? তৎসম্বন্ধে প্লেটো কহেন যে, আচারের পবিত্রতা দ্বারা, দেবতার স্তায় পবিত্র জীবন সংসাধন করাই মনুষ্যজীবনের উদ্দেশ্য। ঐ পবিত্রতা যদিও অপরাপর বস্তুর সাপেক্ষবিহীন হইয়া স্বয়ংই সুখের আধার হইতে পারে, তথাপি সেই পবিত্রত লাভের জন্য উপকরণ এবং উপায় স্বরূপ অর্থ, বল, আভিজাত্য এবং যশাদি সাংসারিক বস্তুর প্রয়োজন। প্লেটো স্থানান্তরে বলিয়াছেন (৩১) যে, উচ্চতত্ত্ব যাহা কিছু, তাহা কেবল আত্মার সহযোগেই লাভ হইতে পারে বটে, কিন্তু শরীর সে পক্ষে প্রায়ই প্রতিকুলত করিয়া থাকে, যেহেতু উহাই দ্বন্দ্ব, কলহ, হিংসা প্রভৃতি নিকৃষ্ট প্রবৃত্তি সকলের মূলাধার। যথায় আত্মিক প্রকৃতিতে ঐ সকল নির্দিষ্ট প্রবৃত্তি জড়িত, তথায় কখনই সৰ্ব্বসিদ্ধির প্রত্যাশা করা যায় না ; এজন্য তিনি বলেন যে, মনুষ্য কেবল মৃত্যুর পরেই প্রকৃত উচ্চতত্ত্বলাভে সমর্থ হয় । ইহজীবনেও তাঁহাতে বহুলাংশে কৃতকাৰ্য্য হইতে না পারা যায় এমন নহে ; তবে উহার জন্য শরীরকে কেবল আবিষ্ঠকমত রক্ষণ ভিন্ন তাহার সঙ্গে আর কোন বিষয়ের সংস্রব বা কোন নিকৃষ্ট বৃত্তির সহিত তাহাকে মিলিত হইতে না দিয়া, পরিশুদ্ধ ভাবে তত্ত্বের অনুধাবন করিবার প্রয়োজন হয় । এই স্থান দৃষ্টে সহসা যেন এরূপ অনুমিত হয় যে, প্লেটো বুঝি হিন্দুযোগী বা সন্ন্যাসীর ন্যায় কোন এক জীবন কল্পনা করিতেছেন ; কিন্তু বস্তুতঃ তাহী নহে। তদ্রুপ যোগ বা সন্ন্যাসযুক্ত যে জীবন হইতে (9°) Apology of Socrates 22. (OS) Phædo 29–31.