প্রথম প্রস্তাব । ఫారి জীবন, জ্ঞানজীবন ইত্যাদি সম্বন্ধেও অবিকল তাঁহাই। দেশ কাল পাত্র আদি পার্থক্যবোধক মায়া ভেদ করিলে, অনন্ত পূর্ণতাময় বিশ্বনিয়মের কি অপূৰ্ব্ব একতাই না লক্ষিত হয় । এখান হইতে সেখানে, এ কাল হইতে সে কাল, এ কাজ হইতে সে কাজ, সকলেই প্রসারণ হইতে সঙ্কোচনে পর্বে পৰ্ব্বে গুটিত হইয়া, শেষে আসিয়া একতায় মিশিয়া বিশ্বরূপে পরিণতিপূর্বক কি পরিস্ফুট স্বরে দেশক লাদির নশ্বরত্ব জ্ঞাপন করিয়া থাকে ! সে যাহা হউক, মানবচিত্ত শৈশবে বিচারবিহীন, বিকারবিহীন, দুগ্ধমথিত সদ্যোনবনীতবৎ নিৰ্ম্মল, কোমল, টল টল করিতেছে ; পিপীলিকাটি পর্য্যন্ত তাহার উপর দিয়া চলিয়৷ গেলে তাহতে পায়ের দাগ বসিয়া থাকে। গর্ভ হইতে ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর, শৈশব হইতে শেষ পর্য্যন্ত ব্যক্তিবিশেষের জীবনে, জ্ঞানজীবনের উৎপত্তি বৃদ্ধি প্রসারণ ও পরিণাম আদি যে ভাবে ও যেরূপ প্রকরণে অভিনীত হইয়া থাকে, আদিমকাল হইতে উত্তরকালিক মানবীয় জাতীয় জীবনেও জ্ঞানজীবনৱিষয়ক অভিনয় তদ্রুপ হইয়া থাকে। ব্যক্তিবিশেষের আশৈশব জীবনতত্ত্বে যে ভাল করিয়া প্রবেশ করিতে পরিয়াছে, কি বিবৰ্ত্তবাদ, কি ক্রমোন্নতি, কি অপর যে কোন প্রকার বীক্ষণ প্রণালী, যদবলম্বনে হউক, জাতীয় জীবনতত্ত্বে প্রবেশ করা তাহার পক্ষে অতীব সহজ । শিশু অনন্ত গর্ভ হইতে নবাগত, সংসারচাতুরীতে অপরিচিত এবং বোধশূন্ত ; সুতরাং চক্ষু নলিন, নবীন, পূৰ্ব্বদর্শনশূন্ত এবং অকপট । যে যে ভাবে নয়ন সমক্ষে উপস্থিত হইতেছে, চাতুরীশূন্য, সৰ্ব্ববস্তুতে সমদর্শী, তাহার অকপটচিত্ত তাহাকে বিনা বাক্যব্যয়ে অবিকল সেই ভাবে গ্রহণ করিতেছে। এ সময়ে যে কোন বস্তু, ইচ্ছা করিলেই, সেই নেত্র এবং চিত্ত সমক্ষে রোষ, ভয়, বিশ্বাস, মোহ প্রভূতি, যাহা ইচ্ছ, তাহ
