२४७ গ্রীক ও হিন্দু। কৰ্ম্মফল ঈশ্বরে অর্পণপূর্বক কৰ্ম্ম সম্পন্ন না করিলে, সে কৰ্ম্মফল কুকুরউচ্ছিষ্ট পায়সাদির ন্যায় এবং সে কৰ্ম্মপরিণাম আরও গুরুতর বন্ধনের কারণ স্বরূপ হইয়া থাকে। এ ভাল কথা ! বস্তুতঃ লোকে কৰ্ত্তব্যকর্মের সাধন এরূপে না করিলে, সে কৰ্ত্তব্যকৰ্ম্ম বুথ । কৰ্ম্ম সকল যখন লোকহিত, সমাজহিত এবং সংসারের হিতসাধনের জন্য সম্পাদিত হয়, তখনই কেবল তাহাদিগকে নিষ্কাম কৰ্ম্ম বলা যাইতে পারে ; নতুবা কৰ্ম্ম আত্মস্বার্থে আচরিত হইলে তাহা সকম হয় । কিন্তু আমাদের পণ্ডিত মহলে নিষ্কাম শব্দের অর্থ অন্তরূপ ; অর্থাৎ কৰ্ম্ম করিবার বেলা হইবে মানুষ, কিন্তু ফল গণনার বেলায় হইবে জ্ঞান ও বুদ্ধিশূন্ত জড়পিও । তাও কি কখনও সম্ভব হয় ? কামনাশূন্ত হইলে মানুষে আর মানুষ থাকিতে পারে না । সে যাহা হউক, শাস্ত্রে কর্তব্য বুদ্ধির ধারণা যদিও অতি শ্রেষ্ঠ বলিয়া দেখা যাইতেছে বটে ; কিন্তু সম্পাদ্য কৰ্ম্ম সম্বন্ধী ধারণার প্রতি দৃষ্টি করিলে, তাহাতে সেরূপ শ্রেষ্ঠত সামান্য পরিমাণেই লক্ষিত হয়। সে কৰ্ম্মধারণ বা কৰ্ত্তব্য কি ?—কৰ্ম্মকাণ্ড পক্ষে সাধারণতঃ এ সৰ্ব্ববাদিস সুতরূপে, দেবসেবা, যাগযজ্ঞ, দান এবং ব্ৰত নিয়ম ও উপবাসাদি ; বিদ্য, বিজ্ঞান, সমাজ, রাজনীতি, প্রভৃতি এখানে একেবারেই উল্লেথবহিভূত হইয়াছে । জ্ঞানকাও পক্ষে কৰ্ত্তব্য কি ? পাতঞ্জলি বলিতেছেন, কৰ্ম্মের মধ্যে কেবল নিত্যনৈমিত্তিক ও চিত্তশুদ্ধিকর যোগাঙ্গের অনুষ্ঠান শ্রেষ্ঠ . এই যোগাঙ্গ অষ্টবিধ, যথা যম, নিয়ম, আসন, প্রাণায়াম, প্রত্যাহার, ধারণা, ধ্যান ও সমাধি । পুনশ্চ, পূর্ণপ্রজ্ঞ দর্শন কৰ্ম্ম ও কর্তব্য সম্বন্ধে কি বলেন দেখ। এ জগতে সং ও ঈশ্বরের প্রিয়কর কার্য্য তিন প্রকার, অঙ্কন অর্থাৎ গায়ে হরিনামের ছাপের ন্তায় নারায়ণের শঙ্খচক্রাদি চিহ্ন ধারণ ; নাম করণ অর্থাৎ নিজ :পুন্ত্রপৌত্রাদির নারায়ণ-বোধক নামের দ্বারা নামকরণ করিবে, যাহাতে
