পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VS O G গ্রীক \S হিন্দু। কখনও সামঞ্জস্তচু্যতিতে অযথা প্রধাবিত হইতে পারিয়া বিষম গোল বাধাইয়া বসিবে। কাৰ্য্যতঃ মায়িক ধারণা ও তদনুষ্ঠানের সামর্থ্য না থাকিলেও অনায়ত্ত ব্যাখান ও ভক্তিজ্ঞান এ উভয়কে অবলম্বনপূর্বক, মানুষ মায়িক অনিত্যাদি বুদ্ধিকে বিকৃত করিয়া তুলিয়াছে। সেই বিকৃত বুদ্ধিফলে এখন এরূপ দাড়াইয়াছে যে, তদ্বারা চেষ্টা এবং পুরুষকার উভয়ই প্রতিষিদ্ধ হওয়ায়, উদ্যম ও অধ্যবসায়শীল কার্য্যে মানুষ ভগ্নপদ হইয়া গিয়াছে এবং জীবনেরও প্রতি সম্ভবাতিরিক্ত মমতা বৃদ্ধি হওয়াতে, জীবনান্তপণে করণীয় যে সকল জাতীয় হিতকর কার্য্য তাহা দূরে পলায়ন করিয়াছে। এককথায়, মমুয্যপ্রকৃতি দারুণ অবসন্নতা প্রাপ্ত হইয়াছে। মায়াবাদ ভারতে পূৰ্ব্বাপরই আছে, কিন্তু পূৰ্ব্বে তাহ কোন অনিষ্ট করে নাই, আর ইদানীং তাহা করিতেছে। ইহার কারণ, ব্রাহ্মণের পূৰ্ব্বে জ্ঞানী ছিলেন এবং তাঁহাদের শাসনও অক্ষুন্ন ছিল; আর এখন তাহাদের সে জ্ঞানও কমিয়াছে এবং শাসনও শিথিল (یہ) 1 al fitattsجاچ۔ সাধারণতঃ কৰ্ম্মকাণ্ড আশ্রয় করিয়াই জগৎ এবং হিন্দু শাস্ত্রায়সারে জ্ঞানকাণ্ড-আশ্রয়ীর পক্ষেও কৰ্ম্মকাণ্ড একেবারে পরিত্যজনীয় নহে। পুনশ্চ, উপরে ইহাও উক্ত হইয়াছে যে, কৰ্ম্মাত্মকবৃশ্যে এই স্বই যথাদৃষ্টবৎ সত্য, সুতরাং এই জগতে অনিত্যজ্ঞানে উপেক্ষা করিবার বিষয় কিছুই নাই। অনিত্যতা বুদ্ধির নিকট কৰ্ত্তব্যবুদ্ধি তিষ্ঠে না, কৰ্ত্তব্যবুদ্ধি না থাকিলে যথার্থ কৰ্ম্ম যাহা তাহা অসম্ভব হইয়া পড়ে ; ജ് (৩৬) । বোধ করি, এই বিকৃত মায়াবাদকে নিন্দা করিবার জন্তই পদ্মপুরাণে এরূপ উক্ত,— “বেদার্থবল্মহাশান্ত্ৰং মায়াবাদমবৈদিকং ॥ ময়ৈব কথিতং দেবি জগতাং নাশকারণম ॥”