পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ প্রস্তাব । ఇనెనె নহে। বুঝিতেন বলিয়াই তাহারা, মায়িক সংসারের অতীত তত্ত্ব ওঅনুষ্ঠান যাহা, তাহার নাম জ্ঞানকাণ্ড এবং সংস্কারাধীন তত্ত্ব ও অঙ্গুষ্ঠান যাহা, তাহার নাম কৰ্ম্মকাও বলিয়া নির্দেশ করিয়া দিলেন এবং এই ও অপরাপর সাধারণ বুদ্ধির বিপ্লবকারী বিষয় সমন্ধে ইহাও শাসন করিতে ক্রটি করিলেন না যে, অত্যুচ্চ শাস্ত্র যে সকল, তাহার অধ্যয়ন ও অনুষ্ঠান, উভয়ই সংস্কারাচ্ছন্ন অল্পজ্ঞানীর পক্ষে নিষিদ্ধ। এখন বুঝিবে কি যে, এই নিষেধ উপকারী কি অপকারী এবং উহা স্বার্থপ্রণোদিত কি তদন্ততর ? এখনকার দিনে অনেকের বিশ্বাস যে, ব্ৰাহ্মণের স্বার্থপ্রণোদিত হইয়াই ওরূপ উচ্চ শাস্ত্রাধ্যয়নাদি নিষেধ করিয়াছিলেন । । এখন জ্ঞানকাও পালনীয় কাহার পক্ষে ?—যাহারা প্রকৃত সন্ন্যাসা বলম্বী ; যাহার। সংস্কারাউীত অত্যুচ্চ সংস্বরূপ পদবীতে আরূঢ় ; যাহদিগকে আর কোন সন্দেহ, সংশয় বা কিছুতেই ঈশ্বরামুগত পথ হইতে বিচলিত করিতে পারে না । সেইরূপ কৰ্ম্মকাণ্ড পালনীয়,–সংস্কারাচ্ছন্ন সাধারণ জ্ঞানমাত্রসম্বল সংসারাবলম্বীর পক্ষে; তাহদের সমক্ষে এই স্থষ্ট মায়িক ও মিথ্যা নহে, উহা যথাদৃষ্টবং সত্য এবং জীব ও পরমেশ্বরের মধ্যে স্বস্ট-স্রষ্টা সম্বন্ধও অনিবাৰ্য্য, সুতরাং ইহার মধ্যে মায়িক অনিত্যতা আদি, জ্ঞানসঙ্গত ভাবে স্থান পায় না এবং যদি বা জোর করিয়া স্থান পাইতে দেওয়া যায়, তাহা হইলে তাঁহা স্থানাতুরূপ আত্মৰিকৃতি না করিয়া তিষ্ঠিতে পারে না । লোক সকল যদি স্বীয় স্বীয় সংস্কার ও মতিগতি অনুসারে চলিত এবং সংস্কার অতিক্রমে সমর্থ না হওয়া পৰ্য্যন্ত সংস্কারাতীত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করিতে না চাহিত, তাহা হইলে আর কোনই গোল বা অনিষ্টের সম্ভাবনা থাকিত না । কিন্তু মানুষের ক্রমোন্নতি-বিষয়িণী আকাঙ্ক্ষা সে কথা বড় বুঝে না, এজন্য তাহা কখনও