હ૭૭ ॐौक् & श् ि। তাতিরিক্তে মানবীয় গতিচালনের চেষ্টা কেবল অনিষ্টের কারণ হইয়া থাকে । সকল জ্ঞানের আদি সন্দেহের উৎপত্তি। সেই সন্দেহ পরিপক্ক হইলে, নাস্তিকতার আকার ধারণ করিয়া থাকে । অমুসন্ধিৎসা বৃত্তির চালনে সন্দেহের উৎপত্তি হয়, পুনশ্চ সেই অনুসন্ধিৎসা বৃত্তির তদুত্তরতর চালনেই আবার তাহার নিবৃত্তি। কিন্তু অনুসন্ধিৎসা শক্তি উত্তরোত্তর অগ্রসর হইয়া আসিলে, যখন গুঢ়গুহভেদের সময় আসিয়া উপস্থিত হয়, তখন তাহা গুঢ়গুহের সন্মুখীন হওয়াতে, ঘোর অন্ধকারে পতিতবৎ সহসা পথ না পাইয়া ব্যাকুলিত হইতে থাকে ; এবং এই ব্যাকুলত হইতে চিত্ত শ্রমক্লান্ত হইয়া পড়ে। তখনই যে চিত্ত ক্ষীণ, সে ঘূর্ণাপতিতবৎ শ্রান্তি, তাপ ও বৈক্লব্যে দিশহারা হইয়া ক্ষিপ্তউন্মাদবৎ হয় এবং যেন আস্তিকতার উপর প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ লইবার জন্তই, জেদ করিয়া নাস্তিকতাকে গতির সীমা জ্ঞানে তদবলম্বনে শান্তি পাইবার চেষ্টা করিতে থাকে। যাহার এই মধ্যপথে ভগ্নগতি হয়, তাহারাই এ জগতে নাস্তিক নামে খ্যাতি প্রাপ্ত হয়। কিন্তু যাহাতে বিষ তাঁহাতেই নির্বিষ, এবং একদেশের চরম সীমায় উঠিলেই, ঠিক তথা হইতে অপর দেশের স্বত্রপাত হইয়া থাকে। ষে অনুসন্ধিৎসা শক্তির চালনে নাস্তিকতারূপ সীমায় উপস্থিত হইয়াছ, সেই অনুসন্ধিৎসা শক্তিকে তদতিক্রমী চালনা করিলেই আবার সেই সীমা ছাড়াইয়া, আস্তিকতারূপ নূতন দেশের শোভনতম মোহিনী মূৰ্ত্তি পুরোভাগে দৃষ্ট করিতে পরিবে। তথায় বিচরণ কর, দেখিবে তাহ অপূৰ্ব্ব মুখের আকর ; সন্দেহের পূৰ্ব্বগত আস্তিকতা অপেক্ষা তোমার এ আস্তিকতা অপরিসীম উজ্জল ও চিত্তশাস্তিকর,—তাহার কারণ ইহা বৈপরীত্য সীমাদেশে উৎপন্ন । এ জগতে সকল বস্তুরই
