পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তুচর্থ প্রস্তাব । \E\OO, গুটিপোকার ন্যায় আপন জালে আপনি আবদ্ধ হইয়া ভাবিতেছ, এই বিশ্ব ও বিশ্বমূলও তোমার তর্কজালের সীমায় পড়িয়া সমাপ্তি লাভ করিয়াছে। নিৰ্ব্বোধ, তাহা নহে। তুমি চক্ষু বুজিয়া জগৎ অন্ধকারময় দেখিতেছ বলিয়া, সত্য সত্যই জগৎ অন্ধকারময় হইয়া যায় নাই। জালে আবদ্ধ হইও না, জাল কাটিয়া বাহির হও, নিবিড় গৃঢ়গুহ ভেদ করিয়া সঞ্চরণ করিতে শিখ, অপরিজ্ঞেয় অথচ অনুভবনীয় ঐশ্বরিক সত্তীর সংস্পর্শে শান্তিলাভ করিতে সমর্থ হইবে ; অন্যথা গুটিবদ্ধ থাকিয়া হত ও পর্য্যবসিত হইবে ভিন্ন অন্ত কিছুই নহে। অসীম পদার্থ তোমার জন্য সসীমের ন্যায় প্রতীয়মান হয় বটে, কিন্তু সে কেবল তোমার কৰ্ম্মক্ষেত্রে আবিস্তকের পরিমাণ অনুরূপ কৰ্ম্মার্থে অবলম্বন পদার্থ দিবার জন্ত ; সে আবশুকের অতীতে আর সে সম্বন্ধ নাই,—তোমার দোষ যে তুমি সে আবশ্বকাতীতেও সসীমতা দেখিতে ব্যগ্র হও । কেবল তর্কে, আলোচ্য এ গুরুতর বিষয়ের মীমাংসা হয় না । ষে কোন তর্ক যে কোন পদার্থকে স্বীয় ব্যুৎপত্তিবাদের ভিতরে সসীম করিয়া না আনিতে পারিলে, অগ্রসর হইতে অক্ষম। প্রতি তর্কে প্রমাণের আবশ্বক, কিন্তু এই বিশ্বে কোম্ বিষয়টি এ পর্য্যন্ত জানিয়া শেষ করিতে পারিয়াছ যে, তাহাতে পূর্ণ ব্যুৎপন্নত হেভু, তাহাকে সন্দেহরহিত প্রমাণ বলিয়া গ্রহণ করিতে সমর্থ হও? আজন্ম জল যাহার অবলম্বন, সে স্থলের অস্তিত্ব বুঝে না, অথচ মৃত্তিকাই জলের আধার। বাঞ্ছারাম, তাহার পর তোমার প্রত্যক্ষ প্রমাণ ! কুকুর্বে মাধ্যাকৰ্ষণতত্ত্ব জানিতে পারে নাই, অথচ ঐ দেখ কেমন উদ্ধলাগল চারি পায়ের উপর ভর দিয়া মনের আনন্দে দৌড়িতেছে ; বলা বাহুল্য ষে কুকুরবুদ্ধির নিকট মাধ্যাকর্ষণের কথা নিতস্তিই হাস্তাস্পদ ! যখন