পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NVI8 গ্রীক ও হিন্দু। এ তর্কের উপর একটা সামান্ত প্রাত্যহিক ব্যাপার মীমাংসা করিতে পাঁচটা এড়াইয়া যায়, তখন গুরুত্তমেরও গুরু বিষয় সম্বন্ধে চিত্ত” বুদ্ধি, শ্রদ্ধা প্রভৃতি আর সমস্ত নিরূপক শক্তিকে দূরে নিক্ষেপ কয়িয়া, একমাত্র যুক্তি শক্তির উপর ইহকাল-পরকাল স্থাপন পূর্বক, যাহারা তৃপ্ত ও শান্ত হইবার প্রত্যাশা করে, তাহারা কি ভ্রান্ত ! ফলতঃ বাঞ্ছারাম, নাস্তিকের নিকট ঈশ্বর যে অস্তিম্ভশূন্ত, এ কথা ঠিক নহে ; প্রকৃতপক্ষে নাস্তিকই ঈশ্বরের নিকট শূন্ত হইয়া থাকে । বলি, তবে সত্য সত্য এবং নিতান্তই কি প্রত্যক্ষ প্রমাণ, প্রত্যক্ষ দৃষ্টি ভিন্ন তোমার মন উঠে না এবং মন প্রত্যয় মানে না ? কিন্তু জিজ্ঞাসা করি,কোন প্রত্যক্ষে এ পর্ষ্যস্ত তোনার মন উঠাইতে পারিয়াছ এবং কিসেই বা এখনও উঠাইতে পার ? বলিতে কি, মানুষ, বিশেষতঃ উচ্ছ,স্থলচিত্ত মানুষ, এমনই অসাব্যস্ত এবং অব্যবস্থিতচিত্ত জীব যে, প্রত্যক্ষ অপ্রত্যক্ষ যে কোন বিষয়ই হউক না কেন, কিছুতেই সে চিত্তকে সাব্যস্ত ভাবে সমাহিত করিয়া তৃপ্ত এবং স্থির রাখিতে পারে না । ভাল, তুমি কিরূপ প্রত্যক্ষের প্রার্থী ? যদি কৃত কাৰ্য্যবিশেষের দ্বার কর্তৃত্বপক্ষে প্রমাণপ্রার্থী হইয়া বল যে, “অবশ্য কোন অদ্ভূত কাণ্ড দেখিলে কেননা ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস করিব ?” তাহা হইলে জিজ্ঞাসা কবি, এই বিশ্বমণ্ডল, এই পৃথিবী, এই স্থষ্টিমধ্যে যে সকল কাও প্রতিনিয়ত অভিনীত হইয়া যাইতেছে, তাহারা সকলেই ত অদ্ভুত, তাঁহাদের অপেক্ষা আরও অদ্ভুত বা আশ্চর্ষ্য কাও কি আছে ? যদি বল তাঁহা নয়, পূৰ্ব্বে যাহা কথন দেখা যায় নাই, এরূপ অদ্ভূত কাও দেখিব, আমি বলি তবে তুমি অন্ধ ! এ স্থষ্টিতে এ পর্য্যস্ত কোম কাও, কৰ্ম্ম বা দ্রব্যটি হইতে দেখিয়াছ, যাহা অপূৰ্ব্ব বা নূতন নছে ; যাহা পূৰ্ব্বগত পদার্থসমূহ সহ সর্বপ্রকারে একমূৰ্ত্তি এবং