পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ প্রস্তাব। OLL. “যাহা তৃপ্তিকর এবং ধ্বংস প্রাপ্ত হয় না, যাহা স্বয়ং ক্লেশাত্মক লহে বা অন্তের পক্ষেও ক্লেশকর হয় না ; পুনশ্চ যাহা অষ্ঠের ক্রোধ বা অকৃতজ্ঞতার কারণোদ্দীপক হয় না, তাহাই পরম পুরুষাৰ্থ ও প্রকৃত সুখপদার্থস্বরূপ । "মৃত্যু কিছুই নহে ; কারণ, যাহার ধ্বংস হয়, তাহার অনুভবশক্তি রহিত হইয়া থাকে ; যখন অনুভবশক্তি রহিত হয়, তখন তাহা অবশুই আমাদিগের নিকট কিছুই নহে। “স্কায়সঙ্গত ভাবে এবং সততা ও বিজ্ঞতার সহিত না চলিলে, প্রকৃত মুখসম্পৃক্তরূপে জীবনাতিবাহন করা অসম্ভব, অথবা প্রকৃত মুখসম্পৃক্তরূপে জীবনীতিবাহন করিতে গেলে, ন্যায়সঙ্গতভাবে এবং সততা ও বিজ্ঞতার সহিত না চলা অসম্ভব। ষে ব্যক্তি ন্যায়সঙ্গত ভাবে এবং সততা ও বিজ্ঞতার সহিত না চলে, সে কখন মুখী হইতে পারে না । "যে কোন প্রকারে উৎপন্ন সুখ, বস্তুতঃ মন্দ নহে ; কিন্তু যে ৰে কারণযোগে সেই সুখের উৎপত্তি হয়, তাহার আনুষঙ্গিক ব্যতিক্রমগুলির প্রাচুর্য্য হেতুই তাহ দূষণীয় হইয়া থাকে।

  • কেবল মনুষ্যসম্ভব ও মনুষ্যসাধ্য মুখকর বস্তুর আয়োজন করিতে পারিলেই যে মানুষ মুখী হইয়া থাকে এমন নহে; যে পৰ্য্যন্ত পরলোক, নরক ও অপরাপর অদৃষ্টশক্তি প্রভৃতি ভয়ের কারণ সকল নিরাকরণ করিতে না পারা যায়, সে পর্যন্ত সুখের সম্ভাবনা অতি অল্পই।
  • অপরিমিত ক্ষমতা এবং ধন, মনুষ্য সম্বন্ধে মানবকে কিয়ৎ পরিমাণে নিঃশঙ্ক করিতে পারে বটে ; কিন্তু যাবতীয় বিষয় সম্বন্ধে নিঃশঙ্ক হইতে হইলে, আকাঙ্খার ক্ষান্তি ও আত্মার শান্তির আবশ্বক হইয়া থাকে। Ö