পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ প্রস্তাব । ©ጓማ তদনুসারেই পরলোক নিৰ্ম্মিত হইয়া থাকে । কৰ্ম্মার্থে প্রাপ্তশক্তি মানবের পক্ষে, সেই শক্তির যথাবিহিত সং-ব্যবহার ভিন্ন, আর কি প্রকারে ইহলৌকিক জীবনের সার্থকতা সম্পাদিত করিতে পারে? পরলোক ভোগস্থান এবং একমাত্র কৰ্ম্মজন্তই ভোগোৎপত্তি হয় ; পুনশ্চ মুখ ইহলৌকিক হউক বা পারলৌকিক হউক, একমাত্র সৎকৰ্ম্ম-পরিণাম হইতেই তাহা প্রবৰ্ত্তিত হইতে পারে। সমাজই আমাদের কৰ্ম্মস্থলী এবং আমাদের কৰ্ম্মক্ষেত্র ; অতএব যদি সেই সাংসারিক ভাবই পরিত্যাগ করিলাম তবে আর আমার রহিল কি ? সতের নূ্যনতাও যেমন অসং, সতের অতিরিক্ত ভাবও তেমনি অসৎ, অথবা এক কথায়—যাহা দ্বারা কৰ্ম্ম পণ্ড হইবে বা কৰ্ম্ম হইবে না—তাহাই অসৎ বলিয়া গণ্য হয়। ঈশ্বরচিন্তা জন্ত ষে সন্ন্যাস, তাহ অবহু সদনুষ্ঠান, তাহাতে সন্দেহ নাই ; কিন্তু যদি তার কৰ্ম্মশূন্তত আসিয়া উপস্থিত হয়, তবে তাহ যে সতের অতিরেক জন্ত অসৎ, তাঁহাতে সন্দেহমাত্র নাই, এবং অসৎ, সতের অতিরেক বা নূ্যনত যে জন্তই হউক, কালের অঙ্কে সমানই দুষণীয় হয়। অতএব পরলোক-বুদ্ধির জন্ত সন্ন্যাসী হওয়া উদ্দেশ্য নহে ; পরলোক-বুদ্ধি ও ঈশ্বরভক্তি দ্বারা সুস্বভাবে আসিয়া সত্য জ্ঞানে ও সাত্ত্বিক ভাবে কৰ্ম্মক্ষেত্রস্থ কৰ্ম্মসম্পাদনে সমর্থ হওয়াই উদ্দেশ্য। ঈশ্বর যেমন প্রতিকাৰ্য্য সহ তাহার পুরস্কার, আনুষঙ্গিক চিত্তপ্রসাদ বা চিত্তত্বপ্তি সংযোজন করিয়া রাখিয়া দিয়াছেন, তেমনি কৰ্ম্মজীবনরূপী সমস্ত কৰ্ম্মসমষ্টির জন্যও পুরস্কারসমষ্টি সংযোজন করিয়া রাথিয়াছেন । সাত্ত্বিক কৰ্ম্মসকলকে যেমন একপক্ষে, অন্ততঃ ইহলোকে, অনন্তসত্ত্বস্থ হইয়া উত্তরোত্তর অনন্ত পরিণতিযোগে অনন্ত ফল প্রসব করিতে দেখা যায় ; তাহার পুরস্কারজনিত উন্নতি ও তৃপ্তিও অপর পক্ষে, ষে লোকে হউক, সেইরূপ অনস্তাবসারণযুক্ত