পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রীক ও হিন্দু। مO۹b» হইবার কথা । ঈশ্বরনিয়োজিত পদার্থ কখন বিফলে যায় না, সুতরাং এ তৃপ্তিরূপী অনন্তভোগ্য পদার্থের জন্ত তাহার সফলতাসাধক অনন্তস্থায়ী ভোগীও একান্ত আবশুক, ইহা দ্বারাও ইহলোকের পর পরলোকের অস্তিত্ব স্বচিত হয়। এই অনন্তভোগ্য পুরস্কারসমষ্টিকেই লোকে স্ব স্ব ধারণার প্রকৃতি অনুসারে কেহ সুকৃতি, কেহ স্বর্গ ইত্যাদি নানাবিধ নামে জ্ঞান বা অজ্ঞানপূর্বক অভিহিত করিয়া থাকে। স্বৰ্গাদি সুপরিণাম ভোগের যদি কিছু অর্থ থাকে, তবে ইহাই সে অর্থ, তদ্ভিন্ন অন্ত কিছু হইতে পারে না। এখন দেখ, জীবনকে যদি সংসারবিরতি দ্বারা কর্মপূত করা যায়, তবে সেই পুরস্কারের প্রাপ্তি জন্ত আশা এবং সেই আশা মুফলবতী করা কিরূপে সঙ্গত হইতে পারে ? ' অতএব মানুষকে সৰ্ব্বতোভাবে কৰ্ম্মামুগত হইতে হইবে এবং সেরূপ কৰ্ম্মযুগত মনুষ্যের পক্ষে, সমাজই কৰ্ম্মস্থলী এবং কৰ্ম্মার্থের একমাত্র অবলম্বন । সুতরাং সে সমাজকে পরিত্যাগ বা তাঁহার প্রতি উপেক্ষা করিলে, আর কৰ্ম্মের, অন্ততঃ গণনীয় কৰ্ম্মের সম্ভবত রহিল। কোথায় ? এমন স্থলে কাজেই বলিতে হইবে যে, একমাত্র সমাজকে অবলম্বন করিয়াই আমরা পারলৌকিক মুখে হস্ত প্রসারণ করিতে সমর্থ হই। সমাজে করণীয় কাৰ্য্য যেরূপ অশেষবিধ ও অগণনীয়, তদ্রুপ অশেষবিধ যোগ্যতা সহ কৰ্ম্মকারক ও অগণনীয় যাইতেছে ও আসি তেছে। পুনশ্চ, কৰ্ম্ম বলিলেই যে, যে সে কৰ্ম্ম লইয়া লিপ্ত থাকিলে তোমার জীবনের উদ্দেশু সফল হইল, তাহা নহে ; তোমাকে যতটা কাৰ্য্যশক্তি দেওয়া হইয়াছে, তাঙ্গ যখন সম্পূর্ণত ও সাত্ত্বিকভাবে কৰ্ম্মার্থে নিয়োজিত হইবে, তখনই কেবল তোমার জীবনের উদ্দেপ্ত সফল বলিয়া জানিও, নতুবা তোমাকে এতাদৃক অধিক কাৰ্য্যশক্তি প্রদান করার অভিপ্রায় কি ? বায় বার বলিয়াছি এবং আবারও: