পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম প্রস্তাব ; \రిసెNలి বলিতে পারা যায় বটে ; কিন্তু মুখ অর্থে নহে, অর্থ ও সম্পদের মুখ যাহা, তাহ সম্পূর্ণই আপেক্ষিক, স্বয়ং কখন পূর্ণ মুখ নহে। মুকাৰ্য্য সংযত ও সাত্ত্বিক ভাবে সম্পাদন করিলে যে চিত্তপ্রসাদ উপস্থিত হয়, তাহাই পূর্ণ মুখ। মুকাৰ্য্যশ্রেণীগ্রথিত বা সুকাৰ্য্যসমষ্টস্বরূপ যাহার জীবন এবং যে সংযমী, সেই কেবল এ জগতে পূর্ণ সুখে সুখী হইতে পারে ; কোন অবস্থা বা ঘটনা-চক্র তাহাকে বিচলিত করিতে সমর্থ হয় না এবং তাহার যেমন ইহলোক, পরলোকপরিণামও তেমনি সুখময় হইয়া থাকে। অর্থ সম্পদাদির সুখ ক্ষণিক উন্মাদনমাত্র, প্রকৃত তাহা সুখ নহে। অথবা যদি অর্থ উপার্জনই বিদ্যার একমাত্র উদ্দেশু হয়, তাহা হইলে তাহার জন্ত এত আয়াস ও আড়ম্বর কি জন্য ?—অতি সামান্ত বিস্তাতেই অতি প্রচুর অর্থ উপার্জিত হইয় থাকে ; আর অতি মহৎ বিদ্যাতে বরং অতি সামান্ত অর্থ উপর্জিত হইতে দেখা যায়। অর্থ অন্ততর কৰ্ম্ম সম্পাদনের মজুরী স্বরূপ। কৰ্ম্ম মহৎ হইলে, তাহার মজুরী কেবল অর্থে কুলাইয় উঠে না, মহৎ বিদ্বান ও মহৎ কৰ্ম্মকারকের প্রায়ই অর্থহীল এবং সম্পৎসুখে দরিদ্র । অথবা বিদ্যার অন্ততর ব্যাখ্যা করিয়া, তাহাকে কৰ্ম্মতত্ত্ব বলিলেও সঙ্গত হয়। যে বিদ্যা প্রধানতঃ পারলৌকিক কৰ্ম্মবিষয়িণী, তাহাকে প্রকৃতিভেদে ধৰ্ম্মবিদ্যা বলা যায় ; আর যে বিদ্যার সাহায্যে প্রধানতঃ ইহলৌকিক বিষয় সমস্ত নিৰ্ব্বাহিত হয়, তাহাকেই লোকবিদ্যা নামে আখ্যাত করা যাইতেছে । কিন্তু কি ইহলোক, কি পরলোক, উভয়তঃ পূর্ণমনুষ্যত্বলাভ কেবল তখনই সম্ভবপর হইয়া থাকে, যখন ধৰ্ম্মবিদ্যা, তত্ত্ববিদ্যা ও লোকবিদ্যা এই ত্ৰিবিধ বিদ্যা আসিয়া একতায় এবং সামঞ্জস্তে সম্মিলিত হয়। তদ্রুপ পূর্ণ মনুষ্যত্ববিধায়ক কৰ্ম্মক্ষেত্র মধ্যে ধৰ্ম্মবিদ্যা নিয়ামক-স্বরূপ এবং লোকবিদ্যা প্রবর্তক-স্বরূপ,