পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

・8や2 গ্রীক ও হিন্দু। বাসস্থান ; নদীসকল যথার্থই সাগরের উপযুক্ত ললনা ; পৰ্ব্বতসকল উন্নতশিরে ক্রকুটভীষণ রোষকষায়িত নয়ন বিস্ফারণ করিয়া রহিয়াছে ; দুর্জয় পবন রুদ্রমূৰ্ত্তি, এক এক সাপটে সৰ্ব্বউচ্ছেদকারিত্ব, সৰ্ব্বশক্তিমানত্ব জ্ঞাপন করিতেছে ; ভূমিকম্প, উদ্ধাপাত, ঋতুচরগণের উন্মাদমূৰ্ত্তি, দিগ্রিকাশিনী তড়িল্পত, ঘনঘোর বজ্ৰনিৰ্ঘোষ, এ সকলে সামান্ত মানবমন কেমন করিয়া সুস্থির থাকিবে ? চতুর্দিকেই ভয়ের কারণ। বালকে এই এই বিষয়ে যেরূপ ভাবযুক্ত চিত্তবিকার প্রাপ্ত হইয়া থাকে, যদি তাহার কথন ধারণা ও পরিমাণ করিয়া থাক ; তাহা হইলে জ্ঞানজীবনস্থ এই আর্য্যবালকেরও তাৎকালিক মনের অবস্থা তুমি অনেকাংশে অনুভব করিতে সমর্থ হইবে। জাগতিক মূৰ্ত্তির ভাবপ্রদর্শন এইরূপ । ইহার পরে আবার সাক্ষাৎ সম্বন্ধে দৌরাত্ম্য—শ্বাপদকূলের এবং শ্বাপদকুল অপেক্ষ আরও ভীষণতর ভারতের আদিমনিবাসিগণের। এক দিকে গোত্র বাধিয়া গোরত্নাদি রক্ষা ; অন্য দিকে ধনুৰ্ব্বাণহস্তে বীরত্ববিকাশে আদিমনিবাসী দৈত্যবর্গের সম্মুখীন হইয়া, তাহাদের দৌরাত্ম্য নিবারণ করিতে ৰিত্রত হইতে হইল। যুগ্ৰাধিষ্ঠাত্রী দেবীরূপে নিত্যকালিকামূৰ্ত্তির আবির্ভাব হইল ;–ভীষণ ভয়ঙ্করী, গলে নরমুণ্ডমালা, লোলরসনায় লোহিতধারা, রক্তে স্নাত, উন্মত্তা, সমুণ্ডখপরহস্তার বিষম তাওবে দসু্যগণ ত্ৰাসিত ও চমকিত। মনের বিকল অবস্থায়, যাহারা আসিয়া উত্তেজনা এবং শক্ৰতাচরণ করে ; তাহদের উপর স্বভাবতঃ যে ক্রোধাগ্নি উদ্দীপিত হইয় থাকে, সেরূপ ধ্বংসেন্স প্রথর উদ্দীপন আর কোথাও হয় না । বলা বাহুল্য যে, এই দৈত্যগণসহ সংগ্রামে আর্য্যের নিতান্তই নৃশংসভাবে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন ; এবং এই