পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম প্রস্তাব ৷ 8ፃ দৈত্যগণের উচ্ছেদবাসনাই বহুদিন পর্য্যন্ত ইহাদের জপমালাস্বরূপ হইয়াছিল । * বেদসংহিতা সকলে প্রায় অৰ্দ্ধেকের অতিরিক্ত স্বত্ত যে সকল দৈত্যবংশের উচ্ছেদ কামনা ও তাঁহার সংসাধন প্রার্থনায় পৰ্য্যবসিত হইয়াছে ; কেহ কেহ বলেন যে, সে সকল দৈত্যবংশ আর কেহ নহে, তাহারা ভারতের সেই আদিমনিবাসী অনাৰ্য্যবংশীয়গণ মাত্র । সে যাহা হউক, এই সময়ে আৰ্য্যগণ নিত্য শত শত নররক্তে স্নান করিয়া তবে জলগ্ৰহণ করিতেন ; এবং এই আর্য্যদক্ষারণস্থলেই, অমুরবিনাশিনী কালী, মহিষমৰ্দ্দিনী দুর্গা, শুম্ভ ও নিশুম্ভ-ঘাতিনী জগদ্ধাত্রী, ইত্যাদি দেব দেবী ও দেবাসুরসংগ্রামকাহিনীর ভাবি-উৎপত্তির স্বত্রপাত হয়। আর্য্যের এই দৈত্যবর্গ লইয়া বহুক্লেশ পাইয়াছিলেন ; এবং শেষে অনেক কষ্টেও অনেক রক্তপাতে তাহাদিগকে বস্ততায় আনিতে হইয়াছিল বলিয়াই মানবচিত্তের স্বভাবসুলভ প্রতিশোধ আকাঙ্ক্ষা ও বিদ্বেষভাবের ক্রীড়ার অনিবাৰ্য্যমোহে, আর্যগণ দৈত্যসন্ততি শূদ্রবর্গকে, সমাজের মধ্যে এতাদৃশ হেয়পদ দান ও তাঁহাদের উপর এতটা অত্যাচার করিতে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন । পুনশ্চ, মানব যখন যে পরিমাণে উদ্ধে মাথা তুলিতে ও পাশ্বে গা মেলিতে না পারে, তখন নিম্নমুখে যেন তাহার প্রতিক্রিয়াস্বরূপ, সেই পরিমাণে নিৰ্ম্মম ও কঠোর ভাব অবলম্বন করিয়া থাকে। সুতরাং ইহাও শূদ্রদিগের উপর অত্যাচারের এক অন্ততর কারণ ; যেহেতু, আমরা দেখিতেছি যে, উদ্ধে এবং পার্শ্বে সকল দিকেই আর্য্যগণের ভীতির সীমাপরিসীমা ছিল না । কিন্তু ইহাও এখানে বক্তব্য যে, প্রথমকালে, শূদ্রবর্গের ব্যবহারফলে, তদ্রুপ অত্যাচার অনিবাৰ্য্য ; নতুবা যখনই আবার সমাজমধ্যে সুস্থত

  • স্বনৰে ১৭ ১১নংহাম, ইত্যাদি অৰ্দ্ধেকের অতিরিক্ত স্বতসমূহ।