ষষ্ঠ প্রস্তাব । " はミの。 \ অধ্যবসায়ের স্থাপনা করিয়া রাখিয়াছেন, এ নিমিত্ত ইহার পথ আপাততঃ অতি উন্নত ওদুরারোহ বলিয়া বোধ হইয়া থাকে; কিন্তু যে একবার ইহার সীমায় উত্তীর্ণ হইতে পারিয়াছে, সে দেখিতে পাইবে যে,যদিও ইহা অাগে এত ফঠন বোধ হইয়াছিল, কিন্তু এখন ইহা কষ্ট সরল। “সেই ব্যক্তিই শ্রেষ্ঠ, যে নিজের উপায় নিজে করিয়া লয় এবং যাহার সেই উপায় ভবিষ্যতে এবং শেষ পর্য্যন্ত মঙ্গলদায়ক হয় ; এবং সেই ব্যক্তিই শ্রেষ্ঠ, যে সুপরামর্শদাতার পরামর্শ শুনিয়া থাকে। কিন্তু অসার ও হেয় সেই ব্যক্তি, যাহার নিজেরও কোন বুদ্ধি নাই অথচ অপরের পরামর্শেও যে কথন কর্ণপাত করে না । অতএব হে পাসেল, আমার সপদেশের প্রতি চিত্ত স্থির রাখিয়া কর্ঘ্যে প্রবৃত্ত হও এবং ভাণ্ডার পূরণ কর, যাহাতে দুর্ভিক্ষ আসিয়া তোমাকে দলিত করিতে না পারে ; তাহা হইলে মুকেশা দেমিতুর দেবীও তোমার প্রতি অনুগ্রহপরবশ হইয়া, তোমার ভাণ্ডার পূরণে সহায়তা করিবেন। জানিও, দুর্ভিক্ষ কেবল অলস ব্যক্তির সহচর হইয় থাকে। “যে ব্যক্তি অলস ভাবে, অপরের গলগ্রহ হয় ; কি দেবতা, কি মানুষ, উভয়ই তাহার প্রতি রোষযুক্ত হইয়া থাকেন। কিন্তু ভোমর ষে কার্ষ্য এবং শ্রমেই কেবল তৃপ্তি এরূপ দেখাওঁ, যেহেতু তাহা হইলে তোমার ভাণ্ডার যখনকার যে দ্রব্য তাহতে পরিপূরিত হইয় উঠবে। শ্রম হইতে লোকের ধনধান্ত পরিপূর্ণ হইয়া থাকে ; এবং যে ব্যক্তি শ্রমশীল, মানব এবং দেব উভয়েরই নিকট সে প্রিয়পাত্র হয়। শ্রমে মানব হতমান হয় না, আলতেই হতমান হইয়া থাকে। তুমি যদি শ্রমরত হও, তাহা হইলে দেখিতে পাইবে যে, অলস ব্যক্তির তোমাকে ধনী হইতে দেখিয়া হিংসারত হইতেছে, কারণ, সম্মান এবং শ্রেষ্ঠত এ দুই সৌভাগ্যেরই অনুগমন করে।
