পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ প্রস্তাৰ । ●: 송 অত ব্যস্ত হইও না, একটু ধৈর্য্য ধর। তুমি পায়ে ধরিয়াছ সেই ভাল, তাহাতেই ভারত এখন আধাপথে উঠিয়া অবস্থিতি করিতে থাকুক ; আর অৰ্দ্ধেক উঠাইবার পূৰ্ব্বে কিঞ্চিৎ পুরুষত্ব ও হৃদয়বল যাহাতে হয়, তাহার যত্নে যত্নবান হও । শাসনফলে জগৎ, শাসনময় জগৎ । উদ্দেশু শুদ্ধ সত্তা। এ জগতে বা এ বিশ্বে পর পর সকলেই শাসনের অধীন, স্বাধীন কেহ নাই; অথচ অধীনতাতেই স্বাধীনতা। বিনা অধীনতায় স্বাধীনতা অসম্ভব । খৃষ্টের শিক্ষা,—সেই মানুষই প্রকৃত স্বাধীন ষে উৰ্দ্ধতন ইচ্ছার নিকট অধীনতাযোগে বিনত হয় ? ফলতঃ এ সংসারে সবাই অধীন ; ভূত আয়ার, লঘু গুরুর, নীচ উচ্চের, ছোট বড়র, অজ্ঞানী জ্ঞানীর অধীনতা স্বীকার করিয়া থাকে। উদ্দেশু, অধম যে, সে শক্তিব্যুনতায় বিপথে বিচলিত না হয় ; শ্রেষ্ঠ যে, সে আপন শক্তির ভার দানে সেই শক্তিনু্যনতার সমতা সাধন করে। ইহা দ্বারাই অধমের শুদ্ধসত্তা রক্ষা হয়। নূ্যন শক্তির সমতা সাধিত হইলে, তখনই কেবল সে শ্রেষ্ঠ শক্তির সহিত সম্মিলনে পারক হয় ও সন্মিলিত হইয়া থাকে। এই সম্মিলনহেতু ফলের উৎপত্তি, সেই ফলেই এই স্থাষ্ট্রলীলার প্রবাহ বাহিত হয়। নতুবা সেই সমতায় যখন যখনই অভাব দৃষ্ট হয়, তখন নূ্যন শক্তি স্বীয় নুন্নত হেতু মতিভ্রান্ত এবং শ্রেষ্ঠ শক্তি স্বীয় শক্তির আধিক্যহেতু উন্মাদদৃপ্ত হইয়া থাকে ; এবং তখন তখনই শ্রেষ্ঠ শক্তির সেই উন্মাদ-ঘূর্ণাতে নুনশক্তি আহুতি হইবার, উচ্ছখলত বা স্বষ্টিনাশে প্রলয়কাণ্ডের সমুপস্থিতি হয়। এক্ষণে জিজ্ঞাস্ত এই, স্ত্রী এবং পুরুষ, ইহার মধ্যে নুন শক্তিই বা কে, আর শ্রেষ্ঠ শক্তিই বা কে ? যুগধৰ্ম্মে ইহাও জিজ্ঞাসা করিতে