পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ প্রস্তাব । &8) স্ত্রী-চিত্ত এবং হৃদয়ের অভিগমন নিবারণের জন্ত, পুরুষবুদ্ধির নিকট স্ত্রী-বশ্বতার একান্ত ও অপরিহার্য্য প্রয়োজন । ইহাও প্রাকৃতিক নিয়ম যে, তত্তং বিষয়ে এবং রমণীজনোচিত যাবতীয় বিষয়ে, তাহারা পুরুষের মুখাপেক্ষী। যাবতীয় প্রাণিস্থষ্টিতেও তাঁহাই সৰ্ব্বদা দুষ্ট হয়। এই নিমিত্ত স্ত্রীগণ শ্রেষ্ঠশক্তি পুরুষের অধীন থাকিবে, ইহাই বিধাতার নিত্য নিয়ম ; ইহার অতিরিক্তে যাহারা যায়, তাহাঁদের ‘প্রকৃতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা ভিন্ন তাহার অন্ত কোন নাম প্রদান করিতে পারা যায় না এবং আমরা জানি, প্রকৃতির বিরুদ্ধে যে সংগ্রাম, তাহা কখনও সুফলপ্রদ হয় না, কুফলেরই প্রভূতরূপে উৎপাদন করিয়া থাকে। স্ত্রী পুরুষের অধীন হওয়াতে, পুরুষের এক্ষণে কৰ্ত্তব্য হইতেছে এই যে, তাহার শ্রেষ্ঠশক্তিপরিচালনের দ্বারা নূ্যনশক্তি স্ত্রীর , শুদ্ধসত্তা সৰ্ব্বতোভাবে রক্ষা করা ; এবং স্ত্রীশক্তি সহ স্বীয় শক্তি মিশাইয়া উভয় শক্তির সমতা সাধন করা। এই শক্তিসমতা হেতু পূর্ণমনুষ্যত্বের সম্ভব হয় এবং এই হেতু উভয় সংযোগে পুরা, নতুবা পুরুষ হউক স্ত্রী হউক এককভাবে অৰ্দ্ধ মানুষ বলা যায়। সে যাহা হউক, সকল কথার উপর শুদ্ধসত্তা রক্ষণ যাহা, তাহাই অতি গুরুতর। এক্ষণে বিবেচ্য, সেই শুদ্ধসত্তা কি ও কি ভাবে পরিরক্ষণীয় হওয়া উচিত। 曝 স্ত্রীলোকের এ সংসারে সর্বতোভাবে সৰ্ব্বপ্রধান কাৰ্য্য, কোন উপযুক্ত পুরুষের গৃহলক্ষ্মী হইয়া স্বামী শুশ্লষণ, সন্তানাদি পালন ও আভ্যন্তরিক গৃহধৰ্ম্ম সংসাধন। পুত্র ষষ্ঠদাস, স্বয়ং যষ্ঠীদাসী এবং স্বামীকে ষষ্ঠীর চেলা না করিয়া ; অথবা পুত্র ক্রীড়াপুতুল, স্বয়ং কার্পেটলক্ষ্মী এবং স্বামীকে ভেড়ো না বানাইয়া, যে স্ত্রী স্বয়ং শক্তিরূপ এবং সেই শক্তির উত্তেজনে পুত্রকে যে মানুষ এবং স্বামীকে যে কৰ্ম্মবীর