পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার। AL জ্ঞানশক্তি, স্বেচ্ছাশক্তি, ক্রিয়াশক্তি, এই ত্ৰিবিধ শক্তিতে তুমি শক্তিমান ; সুতরাং তুমিও স্বয়ং প্রাকৃতিক কৰ্ম্মস্থত্রের উপর আর এক কৰ্ম্মস্থত্র এবং নৈরাণ্ডের উপর আর এক অশানিৰ্ম্মাম্বক কৃতী বলিয়। আপনাকে জানিও। প্রাকৃতিক কৰ্ম্মস্বত্র এবং তুমিরূপ কৰ্ম্মস্বত্র, উভয়েরই কৰ্ম্মগতি যদিও একই মুখে, তথাপি তাহারা স্ব স্ব কৰ্ম্মক্ষেত্রমধ্যে স্বীয় স্বীয় কাৰ্য্যস্বাধীনতাশূন্ত নহে। ভারতসন্তান, এ কথা আমি তোমাকে কেমন করিয়া বুঝাইব ? 疊 কেমন করিয়া বুঝাইব ? তুমি যদি সামঞ্জস্ত-সমুৎপন্ন মধ্যম গতি কাহাকে বলে তাহা বুঝিতে, তাহা হইলেও কতকটা বুঝাইবার চেষ্ট} করিতে পারিতাম। কিন্তু তুমি হয় হুজুকে হাটের লেড়া, নতুবা অনড় অসাড় চেষ্টাশূন্ত জড়পিওবৎ। তোমার কৰ্ম্মবুদ্ধির আবির্ভাব হইল যদি, কৰ্ম্ম যত হউক না হউক, চীৎকারে দেশ তোলপাড় ; আবার কৰ্ম্মবুদ্ধির ক্ষীণত হইল যদি, তবে একেবারে অস্তিত্বশূন্ত, জীবনীর চিহ্নমাত্রের চিহ্নও পাইবার সম্ভাবনা নাই। তোমার ধৰ্ম্মবুদ্ধি হইল। যদি, তবে তুমি হয় ত একেবারে সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী, বিরাগীর চূড়ামণি—পুত্রপরিবারাদি অনাথ পর্থের ভিখারীতে পরিণত ; নয় ত অন্ত দিকে ঘেটু মনসা পর্যন্ত পূজিয়াও তোমার ক্ষত্তি নাই ! আর ধৰ্ম্মবুদ্ধি না হইল যদি, তবে একেবারে কাঠ-নাস্তিক, ওরফে ঘোর বৈজ্ঞানিক বা ‘ফিলোজফার।’ কোন দিকেরই তোমার ভাব ও অন্ত পাওয়া বড় কঠিন। তাহার পর আর যেমন হউক, সকল অবস্থাতেই কিন্তু অদৃষ্টবাদিত্বের উপরে নির্ভরটা কিছু বেশী বেশী ; অদৃষ্টবাদিত্ব—‘কপালে যা আছে তাই হবে ? বাঞ্ছারাম, তুমি কি জঙ্ক এমন বদ্ধমূল অদৃষ্টবাদী,—তোমার এ অদৃষ্টবাদিত্ব কোথা হইতে উঠিয়াছে বলিতে পার? আমি যতদুত্ত্ব