পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম প্রস্তাব । (two) হইল। এ সকলের ফলস্বরূপ এই হইল যে, নিজেরা নিতান্ত নিরীহ হইয়া পড়িলেন ; এখন একটু শত্রুর অত্যাচার হইলেই, উদ্ধারার্থে দেবাবতার উদ্ভবের প্রয়োজন হইতে লাগিল। কিন্তু দেবাবতারের উদ্ভব কাৰ্য্যতঃ যত হউক না হউক, শক্রকৃত অত্যাচারের বড় একটা অভাব ছিল না । সুতরাং একে এত শান্তির চেষ্টাতেও শান্তি নাই, তাহার উপর আবার দৈত্যবর্গের সহ ঘন সংঘর্ষ; কাজেই বিকৃত মনের এরূপ প্রকৃতিউত্তেজনা হেতু, নীচের প্রতি ক্রর ভাব ইহাদের ক্রমেই বৰ্দ্ধিত হইয়া উঠিতে লাগিল। আর কত বলিব ! এইরূপে সেই যে মূল বিশুদ্ধ আর্য্যচরিত, তাহাতে কতই না পরিবর্তন ঘটনা হইতে থাকিল । এখানে আর্য্যচরিত আরও সূক্ষ্মতরে বিশ্লেষণ করিলে দেখিতে পাওয়া যায় যে, উপরি-উক্ত ভাবাভাব সকলের আবার প্রতিপ্রসবে, ভয় ইষ্টতে নম্রতা ; ভক্তি হইতে কৃতজ্ঞতা ও বাংসল্য ; বিস্ময় হইতে বিরাটমুৰ্ত্তির ধারণা ও বিরাটধারণা হইতে বৈরাগ্য ; এবং ব্যাকুলত৷ হইতে ক্ষুদ্র দৃষ্টিতে সামান্ত বিষয় লইয়া খুঁট নাট খুঁট নাট হইতে অনুষ্ঠানে আড়ম্বর ও প্রকরণবাহুল্য হইয়া পড়িয়াছে —ধৰ্ম্মের মূল পদার্থ যে ভক্তি শ্রদ্ধা তাহা যতটা থাকুক বা না থাকুক, কিন্তু বিঘৎপ্রমাণ কুশের একচুল বাড়াকমা হইলেই যজ্ঞ পণ্ড হইয়া যায় ; হাচি কাশি চলা ফেরা সকলই নিয়মের উপর ; সে নিয়ম হেতু কাজ পণ্ড হউক তাহাতে ক্ষতি নাই, কিন্তু নিয়মভঙ্গ হইলে নরকে যাইতে হয় ! তাহার পর আত্মথৰ্ব্বতাজ্ঞান হইতে সৰ্ব্বভূতে সন্মান ; আত্মনির্ভরতার অভাব হইতে ধৰ্ম্মচৰ্য্যায় বিপুলতা, এবং নীচের প্রতি ক্ররত হইতে শ্রেণীবিশেষের স্বভিষ্টসাধন প্রবৃত্তির উৎপত্তি হইল। পুনশ্চ নম্ৰত হইতে ধৈৰ্য্য, কৃতজ্ঞতা হইতে দয়া, বাৎসল্য হইতে ক্ষমা, এবং বৈরাগ্য হইতে শমদমাদি কোমল গুণসমস্ত এবং কোমল গুণ সকল হইতে