পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার। . ●●● তদ্বিপরীতে অসং । জ্ঞান ও স্বেচ্ছার অপ্রতিহত গতি, অথচ সে গতিতে প্রাকৃতিক শ্রেয়ঃ যাহা তাহার অনুসরণকল্পে বাধ্যবাধকতা, এতদুভয়ের দ্বারা মানুষে যুগপৎ স্বাধীন ও পরাধীন ভাবের বিদ্যমানত সুস্পষ্টভাবে বিজ্ঞাপিত হয়। অতএব দেখ, তুমি যে আপনাকে অদৃষ্টের অধীন এবং পরাধীন বলিয়া জানিতে, তাহাও অলীক নহে,—তুমি পরাধীন, কিন্তু সেই সঙ্গে ইহাও দেখিলে যে, তুমি পরাধীন হইয়াও স্বাধীন । তুমি বা তোমার কামনা, অদৃষ্ট বা মহান কামনার নিকট পরাধীন হইয়াও স্বাধীন,—এ কথা কোন পাষণ্ড মুর্থ শুনিলে হয়ত অপক্ষায় জ্ঞানে হাসিয়া উড়াইতে প্রস্তুত হইবে। কিন্তু হইলে হাত । কি ?—তথাপি উহ। তাঁহাই । পুনশ্চ, কৰ্ম্মের প্রোক্ত প্রাকৃতিক উপযোগিতাকল্পেই যে কেবল মানুষের অধীনতা, তাহা নহে ; কৰ্ম্মাভাস ও কৰ্ম্ম-উপকরণ সকলের প্রাপ্তিকল্পেও মানুষের অধীনতা সম্পূর্ণ। ভাল, ইহার একটু আলোচনা করিয়াই দেখ না কেন। বাপু বাছারাম, কি আশ্চৰ্য্য ! মুহূর্বে মুহুর্তে, তিলে তিলে, প্রতিক্ষণে মানৰ কৰ্ম্ম সকল নিম্পাদন করিয়া যাইতেছে ; অথচ দেখিতে গেলে একটাও তাঁহাদের নূতন নহে। অথবা নূতনত্ব সত্বেও পুরাতন ; নুতন-পুরাতনের যুগপৎ একত্র সমাবেশ —নুতন হইয়াও অনুকরণমাত্র। আমরা যাহা কিছু করিয়া থাকি, অগ্রে তাহার আভাস বাহাজগৎ হইতে সংগ্ৰহ করিয়া লই, সেই বাহাজগৎ-প্রদত্ত উপকরণসাপেক্ষ হই, নতুবা কোন কৰ্ম্মই সুসম্পাদন করিতে পারিতাম না। তুমি এখন বলিতে পার যে, আমি যে এই সুন্দর বাড়ীটি নির্মাণ করিয়া বাস করিতেছি, ইহা কি নুতন নহে –তোমার জাগতিক মুক্তির কোন মূৰ্ত্তিবিশেষ এরূপ আছে যে আমার এই বাড়ী যাহার প্রতিরূপ