পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

•es. औक ७ दिकू । বাল্যর সে বিপুল উদ্যম, বিপুল উৎসাহ, জড়িমাকৰলে এখন কবলিত ;–আগু পাছ কালের তুলনে কে বলিতে পারে যে এই সেই ? বরং মনের খেদে ইহাই বলিতে হয়, সেই আর এই ! আর তোমার পাঠ্য এবং পরীক্ষা ?—পাঠ্য একে বিজাতীয়, তায় ভাবের ভরে ধোপার গাধায় হারি মানে ; পরীক্ষণ অপেক্ষ বরং ফাশির আসামীরও কপাল ভাল যে জাল যন্ত্রণ হউক একেবারে মিটৰে । বহিয়া রহিয়া এ ঘন দহনজাল কেন ? বৃদ্ধও সে ভারে পেষিত এবং এ ঘন দহনে বিলুপ্তজীবনী হইয়া যায়, বালকের তো কোন কথা ? তথাপি যে বালক বাচে, সে কেবল বাল্যসুলভ স্থিতিস্থাপকত ও নমনীয়তা গুণে । উচ্চশিক্ষাই বটে ! শিক্ষার উদ্দেশু, জীবনী-শক্তি ও মনীষা-শক্তি, উভয় শক্তির ফুপ্তিসাধন। কিন্তু ষে শিক্ষার বিপরীত ফলে উদ্দেশ্য যাহা, তাঁহাই যদি সৰ্ব্বাগ্রে পীড়িত পেষিত ও দলিত হয়, সে শিক্ষার প্রয়োজন ? এরূপ উচ্চশিক্ষণ অপেক্ষা নিম্নশিক্ষা ব: অশিক্ষণ সহস্র গুণে ভাল ; অন্ততঃ তাহাতে তত্ত্বভয় শক্তির বিলোপশঙ্কা নাই, অন্ততঃ তাহারা তাঁহাতে স্বতঃ সমুজ্জল হইয়া স্বীয় অভাব হয়ত কখনও পূরণ করিয়া লইলেণ্ড লইতে পারে। কিন্তু যেখানে পীড়ন ও পেষণে মূল বিদলিত এবং দগ্ধ, সেখানে কোন আশ। তোমার ঠাই পাইতে পারে, বল দেখি ? তোমার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাধিগ্রস্ত ছাত্র –জীবনশূন্ত মনীষাশূন্ত হটগোল-পাকানে ছন্ন জীবন্ত অভিধানীতিরিক্ত নহে ;–মানসিক শক্তি বিষয়ে চোখে-ঠলি ঘানির গরু ! মানুষ কোথায় মানুষ হইবে, এবং শিক্ষা যে সে মানুষ হওয়ার সহায়তা করিবে, তা না হইয়া উল্টা উৎপত্তিতে কি বিষম পরিণাম । কেতাবী শিক্ষার সঙ্গে দৈহিক বলচর্চ সমপ্রয়োজনীয় সত্য বটে, কিন্তু এরূপ পরিপেষণের পরে তাহ গোদের উপর বিষফোঁড়া ।