পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার। Woo বোধ হয়। জীবন সুভাবে অতিবাহন করিতে হইলে, স্বাভাবিকী চপল স্ফৰ্ত্তি এবং গাম্ভীৰ্য্যশীল কৰ্ম্মপরায়ণতা, উভয়েরই সমান আবশ্বক। জীবনী শক্তির সহ স্বভাবসন্থত ফৰ্ত্তি যাহা, তাহা এখন বিগত ; ফৰ্ত্তি এখন যাহা কিছু, তাহা কৃত্রিম, মাদকতায় ও উন্মাদনে উৎপন্ন। স্বভাবসস্তুত ক্ষত্ত্বির নূ্যনত হেতুই, কৃত্রিম ক্ষত্ত্বির এত প্রাবল্য এবং আবশ্বকত। কৃত্রিম স্ফৰ্বির ফল হীনতা ও ক্ষীণতা ; হীনতায় ক্ষীণতায় রোগের উৎপত্তি, রোগে অপর রোগ টানিয়া আনে। কথা আছে, নগর দগ্ধ হইলে দৈবালয় এড়ায় না ; সুতরাং_একের রোগে অপরে রুগ্ন, তাই আজি দেশের উচ্চ নীচ সকলেই এক দহনজালায় সমান দগ্ধ। উপযুক্ত নিয়োগ, শ্রম, অধ্যবসায়দির অভাবে, ওদিকে ভূমির উৎপাদিক শক্তি প্রভৃতির হ্রাস হইয়া আসিতেছে। নিয়ত অল্পকষ্ট, নানাকষ্ট প্রভৃতিতে রোগ আরও ভীষণতর করিয়া তুলিতেছে। এ সামাজিক উচ্ছ স্থলত যাহা পরিদর্শন করিয়া আসিলাম, তাহ পূৰ্ব্বোক্ত জাতীয়হীনতারই প্রায়শ্চিত্ত মাত্র। কিন্তু এখন পরিণাম ? , এ ধ্বংসাভিনয়ের পরিণাম বাস্তবিকই বড় ভয়ঙ্কর, বাস্তবিকই বড় লোমহর্ষণকর । ধবংসাভিনয়ের যেরূপ প্রবল বেগ তাঁহাতে এ জাতি, এ লোক, একে একে সকলই সৰ্ব্বসংহারক মৃত্যু দেবতার অঙ্কগত হইবে। ভারতের ভাবী ভরসা এবং ভাবী নব জীবন যাহা, তাহ, ইহাদিগের অতীতে এবং ইহাদিগের চিতাভস্ম হইতে cয অভিনব মানবজীবন অঙ্কুরিত হইবে, তাহাঁদের হস্তে অবস্থান করিতেছে । ভারত নিশ্চয়ই আবার পুনৰ্জীবিত হইবে বটে, ভারতে আবার নব জাতীয় জীবনও অঙ্কুরিত হইবে বটে,—যেরূপ আমেরিকায় হইয়াছে, যেরূপ অন্তান্ত স্থানে হইয়াছে,–কিন্তু তাহাঁতে