পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

औक ७ श्लूि । نzwهم পরিগণিত হইয়াছে। দেখা গিয়াছে, ভারতীরে অতিবুদ্ধিশালী প্রায় তাহাঁদের অনুষ্ঠিত তাবৎ বিষয়ে ; এখানেও, সেই অতিবুদ্ধিবশে, তাহাদের আত্মসংস্কার-প্রণালীকে উহার সীমা ছাড়াইয়া এতই বাহুল্যতায় লইয়া উপস্থিত করিয়াছে যে, অন্তান্ত সাধনার কথা দুরে যাউক, কেবল তাহার সাধনেই, সমস্ত জীবন অতিবাহিত বা সমস্ত জীবন নিপাত করিলেও, অবসর বা অবধি পাওয়া যায় না। ইঞ্জিয়-সংযম করিতে হইবে ?—থাও জল এবং ঘাসের পাতা, যহাতে শরীর শোষিত হইয়া, কেবল একটা ইঞ্জিয় কেন, সমস্ত ইঞ্জিয়েরই একেবারে এবং চিরকালের মত দমন হয়। নিঃস্বার্থ হইতে হইবে ? ছাড় সংসার, ধর সন্ন্যাসমূৰ্ত্তি ; মাঘের হিমে, আষাঢ়ের জলে, বৈশাখের অগ্নিতে ক্ষিপ্ত বা জড়প্রায় হইয়া পড়িয়া রহুিতে শিখ ! ইত্যাদি। সাধারণ আচার বিষয়েও খুটিমুট এত যে, চারিচালের বাহির হইলেই কোন না কোন প্রকারে পাপম্পৰ্শ না হইয়া যায় না। হিন্দুঠাকুরদের পুনঃ ঐ ঐ অতি-আচারের কার্য্যকারিতায় এত দূরই বিশ্বাস যে, যদি সে সকল যথোচিতরূপে পালিত হওয়ার পক্ষে কাহারও কেন ক্রট দৃষ্ট হয়, তবে তাহার ষে পরকালে হানি না হইয়া থাকিতে পারে, ইহা তাহাদের ধারনায় একেবারেই আইসে না। বুদ্ধিবৃত্তি হিন্দুরা অতিশয় প্রশস্ত এবং আড়ম্বর-আয়ত্তক পাইয়াছিলেন ; সেই বুদ্ধির মোহে, ইহাদের যে কোন গুণ বা আচার বা যাবতীয় সাধ্য বিষয়গুলিকে এমনই বহায়তন ও আড়ম্বরযুক্ত করিয়া তুলিয়াছেন যে, উপায়ের সন্নিকটে উদ্দেশ্য যাহা তাহ। ঢাকা পড়িয়া, উপায়ই উদ্দেপ্তরূপে প্রতীয়মান হয় ; এবং তাহার ফলে হইয়াছে এই যে, হিন্দুর উদ্যম, উৎসাহ, অধ্যবসায়, চেষ্টা ও অনুষ্ঠান, সৰ্ব্বত্রই রুদ্ধগতি ও ভগ্নপদ। হিন্দু দুৰ্বদেশ যাইবেন,