বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:চন্দ্রলোকে যাত্রা - রাজেন্দ্রলাল আচার্য.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চন্দ্রলোকে যাত্রা

 “তবে?”

 “তবে কি?”

 “বুঝ্‌লে না—সেই সূত্রে ইংলণ্ডই বা আমাদের দেশ হ’বে না কেন?”

 সমগ্র দশন-পংক্তির মধ্যে যুদ্ধান্তে যে চারিটী মাত্র অবশিষ্ট ছিল, তাহাই নিষ্পেষণ করিতে করিতে মিষ্টার বিল্‌সবি কহিলেন,—

 “যাও না একবার কথাটা নিয়ে প্রেসিডেণ্টের কাছে! মজা দেখ্‌বে এখন। আমি ভাই কিছুতেই আর এবার ওঁকে ভোট দিচ্ছিনে।”

 হাণ্টার। আমিও না।

 সকলেই তখন উচ্চ-কণ্ঠে কহিলেন,—“আমিও না—আমিও না।”

 ম্যাট্‌সন্ বলিলেন,—“আমার নূতন কামানের বল পরীক্ষা ক’র্‌তেই হ’বে। যদি দেশ সে জন্য একটা যুদ্ধ না বাধায়, আমি তা’ হ’লে আর তোমাদের সমিতির সদস্য থাক্‌ছিনে। পদত্যাগ ক’রে কোনো দূর-দেশের নিবিড় বনে চ’লে যাব।”

 উত্তেজিত-কণ্ঠে সকলেই কহিলেন, ‘আমরাও যাব—আমরাও যাব। হয় যুদ্ধ——না হয় বনে গমন।”

 সমিতির ভিতরকার অবস্থা যখন এইরূপ, তখন সমিতির সভাপতি সহসা একদিন নিম্নলিখিত বিজ্ঞাপন প্রচার করিলেন,—

 গান্-ক্লাবের সভাপতির সবিনয় নিবেদন যে, আগামী ৫ই অক্টোবর সন্ধ্যা ৮টার সময় তিনি সদস্যদিগকে একটী বিস্ময়কর সংবাদ শুনাইবেন। সভাপতি ভরসা করেন যে সদস্যগণ সকল কার্য্য ত্যাগ করিয়া সেদিন সভায় উপস্থিত হইবেন।