পাতা:চন্দ্রলোকে যাত্রা - রাজেন্দ্রলাল আচার্য.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সমিতি

অল্পে অল্পে কাটিতে কাটিতে মিষ্টার হাণ্টার একটী দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলিয়া কহিলেন—

 “তবে আর কি! চল এখন লাঙ্গল নিয়ে তামাকের আবাদ করিগে—নয় ত’ তিমি মাছ ধ’রে তার তেলটাকে জ্বালে চড়াই গে!”

 ম্যাট্‌সন্ উত্তেজিত-কণ্ঠে বলিলেন,—“অতটা ক’র্‌তে হ’বে না। আমার ত’ মনে হয়, এমন দিন আস্‌বেই যে আবার অতি সত্বরেই আমাদের কামানের ধ্বনিতে গগন কম্পিত হ’য়ে উঠ্‌বে। চিরদিনই কি এমনি শান্তিতে কাট্‌বে? যুদ্ধ লাগ্‌বেই। ফ্রান্স কি ভুল ক’রেও আমাদের দু’-একখানা জাহাজ আট্‌কাবে না! আন্তর্জাতিক নিয়ম লঙ্ঘন ক’রে, ইংলণ্ডও কি দু’চারজন আমেরিকানকে ফাঁসি-কাঠে লট্‌কাবে না! একটা কিছু হ’লো বলে!”

 হাণ্টার। তুমি যা’ ব’ল্‌লে ম্যাট্‌সন্, তা’ আর হ’চ্ছে না। আমেরিকার চামড়া এখন বড় পুরু হয়েছে। সূঁচের ঘায়ে আর লাগে না। আমরা কি আর মানুষ আছি ভাই—আমরা গোল্লায় গেছি! নইলে এতদিনও একটা যুদ্ধ বাধে না! হোক্ না ছোট-খাটো রকম। কিন্তু তাই বা কৈ?”

 কর্ণেল। একটা যুদ্ধ বাধালে কেমন হয়?

 হাণ্টার। কেমন ক’রে?

 কর্ণেল। কারণের অভাব কি? এই দেখনা—উত্তর আমেরিকা কি একদিন ইংরাজদের দেশ ছিল না?

 কাষ্ঠের নির্ভর-যষ্টি দ্বারা চিম্‌নীর অগ্নি উদ্দীপিত করিতে করিতে মিষ্টার হাণ্টার কহিলেন,—

 “ছিল বৈ কি?”