বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:চন্দ্রলোকে যাত্রা - রাজেন্দ্রলাল আচার্য.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চন্দ্রলোকে যাত্রা

বা হাউইজারের মালা সজ্জিত থাকিয়া সমিতির সদ্যদিগের কর্ম্মনিষ্ঠা ও গৌরব সূচিত করিতেছিল।

 কক্ষের প্রান্তে একটী সুবিস্তৃত উচ্চ বেদীর উপর সভাপতির আসন নির্দ্দিষ্ট ছিল। সে আসন কামান বহিবার গাড়ীর উপর নির্ম্মিত। আসনের সম্মুখে টেবিল এবং টেবিলের সম্মুখে সদস্যদিগের বসিবার আসনগুলি তির্য্যগ্‌ভাবে সজ্জিত হইয়াছিল।

 সভাপতি ইম্পে বার্বিকেনকে কে না জানিত। ধীর, স্থির, গম্ভীর তিনি। তাঁহার প্রতিকার্য্য ক্রণোমিটার ঘড়ীর কাঁটার মত চলিত। অন্যে যে কার্য্যকে মনে করিত অত্যন্ত বিপজ্জনক, তিনি অনায়াসে তাহা করিতে পারিতেন। সমিতির সদস্যদিগের মধ্যে কেবল তাঁহারই কোন দিন অঙ্গহানি হয় নাই। অথচ নানাবিধ আগ্নেয়াস্ত্র আবিষ্কার করিয়া তিনি যেরূপে সমিতির গৌরব বৃদ্ধি করিয়াছিলেন, আর কেহ তাহা পারে নাই।

 কৃষ্ণবর্ণের রেশমে নির্ম্মিত কামানের নলের ন্যায় দীর্ঘ একটা টুপী মাথায় দিয়া সভাপতি বার্বিকেন মঞ্চে আরোহণ করিলেন। তখনো ৮টা বাজিতে ১ মিনিট্ ৪৫ সেকেণ্ড বাকি ছিল। বার্বিকেন ঘড়ীর দিকে চাহিয়া রহিলেন। উৎসুক জনমণ্ডলী তাঁহার মুখের দিকে চাহিয়া রহিল। সভাস্থল নীবব! সেই নীরবতা ভঙ্গ করিয়া যেই ৮টার প্রথম ঘণ্টা বাজিল ঢং, অমনি বার্বিকেন তড়িদ্বেগে আসন ত্যাগ করিয়া উঠিলেন এবং জলদ্‌গম্ভীরে বলিতে লাগিলেন—

 “বীর সহকর্ম্মিগণ! সমিতির সদস্যগণ এখন দুঃসহ কার্য্যহীনতার মধ্যে আসিয়া পড়িয়াছেন। কি দুর্দ্দৈব! সহসা যে সন্ধি হইবে, ইহা কে