পাতা:চন্দ্রলোকে যাত্রা - রাজেন্দ্রলাল আচার্য.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নূতন প্রস্তাব

জানিত! সন্ধি যে ভাঙ্গিবে না, তাহাই বা কে ভাবিয়াছিল! আমি জানি, আজই যদি যুদ্ধ উপস্থিত হয়, তবে সর্ব্বাগ্রে আমরাই তাহাকে সাদরে বরণ করিয়া লইব”।

 সহস্রকণ্ঠে ধ্বনিত হইল—“ঠিক ঠিক তাহা ঠিক।” সভাপতি বলিতে লাগিলেন,—“এখন দেখিতেছি, সকালে যে কোন যুদ্ধ ঘটিবে তাহা ত’ বোধ হয় না। আমরা কি তবে নীরবে বসিয়া থাকিব! আগ্নেয়াস্ত্রের কি আর উন্নতি ঘটিবে না?”

 “হে বীর সহকর্ম্মিগণ! আমি ভাবিতেছিলাম, যুদ্ধ যদি না-ই হয় তাহা হইলে, কি আমরা এই ঊনবিংশ শতাব্দীর যোগ্য—পৃথিবীখ্যাত এই সমিতির যশের ও প্রতিষ্ঠার উপযুক্ত কোনো বিশেষ কার্য্যে নিযুক্ত হইতে পারিব না। আমি অনেক চিন্তা করিয়া দেখিয়াছি যে আমরা এমন একটী কার্য্যে হস্তক্ষেপ করিতে পারি, যাহা শুধু গান্‌ক্লাবেরই যোগ্য—যাহা শুধু আমেরিকার পক্ষেই সম্ভব। সমস্ত পৃথিবী সে সংবাদ শুনিলে স্তম্ভিত হইয়া যাইবে।”

 সহস্র সদস্য বলিয়া উঠিলেন—“কি—কি—কি—সে কাজটা কি?” মাথার টুপীটা ভালো করিয়া মাথার উপর বসাইয়া সভাপতি কহিলেন,—

 “বন্ধুগণ! আপনারা মনোযোগপূর্ব্বক সেই সংবাদটী শুনুন্। সেই কথা নিবেদন করিবার জন্যই আজ আমি আপনাদিগকে আহ্বান করিয়াছি। আামার দৃঢ় বিশ্বাস আছে, আপনারা সকলেই চন্দ্র দেখিয়াছেন। কেহ যদি নাও দেখিয়া থাকেন, তবে উহার কথা নিশ্চয়ই শুনিয়াছেন। বন্ধুগণ! আমরা সেই চন্দ্রলোক জয় করিব। আমরাই সেই চন্দ্রলোক আবিষ্কর্ত্তা কলম্বস্। ছত্রিশটী মিলিত রাজ্যে আমাদের এই প্রাণপ্রিয় যুক্তরাজ্যটী