পাতা:চন্দ্রলোকে যাত্রা - রাজেন্দ্রলাল আচার্য.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চন্দ্রলোকে যাত্রা

বারুদ ব্যবহার করিতে হইবে কারণ উহা তাড়াতাড়ি জ্বলে। কেহ বলিলেন ২৫০০ মণ বারুদ চাই—কেহ বলিলেন, তাহাতে হইবে না ৬২৫০ মণ চাই। আর একজন বলিলেন, উহাতেও হইবে না—বিশ হাজার মণ ত’ চাই-ই! বার্বিকেন কহিলেন,—“ওতে ত’ হবে না, চল্লিশ হাজার মণ বারুদ ত’ নিতেই হ’বে।”

 সম্পাদক ম্যাট্সন্ অতিমাত্র বিস্মিত হইয়া মুহূর্ত্তে আসন ত্যাগ করিয়া উঠিয়া দাঁড়াইলেন। কহিলেন—"চল্লিশ হাজার!”

 বার্বিকেন। “হাঁ। এক সের কমেও চ’ল্‌বে না।”

 ম্যাট্‌সন্। চল্লিশ হাজার মণ বারুদে বাইশ হাজার ঘনফুট যায়গা জুড়বে। আপনাদের কামানেত মোট-মাট চুয়ান্ন হাজার ঘনফুট স্থান আছে। তার অর্দ্ধেকেরও বেশী যদি বারুদেই পূর্ণ হয়, তবে বারুদের গ্যাস থাক্‌বে কোথায়? আপনাদের গোলাটত তা’ হ’লে চ’ল্‌বে না।

 সদস্যগণ এ কথা শুনিয়া কিংকর্ত্তব্যবিমূঢ় হইয়া পড়িলেন। কাহারও মুখে আর বাক্য সরিল না।

 বার্বিকেন স্থির-কণ্ঠে কহিলেন,—“বন্ধুগণ! হতাশ হবেন না। বৃক্ষ, লতা, গুল্মাদির যে অসংখ্য কোষ আছে তা আপনারা জানেন। তূলায় এই কোষের আদৌ অভাব নাই। অত্যন্ত উষ্ণ নাইট্রিক এসিডে ১৫ মিনিট কাল তূলা ভিজিয়ে জলে ধুয়ে শুকিয়ে নিলেই হ’লো। এর চেয়ে তীব্র বিস্ফোরক ত’ আর নাই। বারুদ জ্বলে ২৪০ ডিগ্রী উত্তাপ লাগ্‌লে, আর এই তূলা জ্বল্‌বে ১৭০ ডিগ্রীতে! কত সুবিধা দেখুন। সাধারণ বারুদ একটা গুলিকে যত বেগ দেয়—এ তূলা দিবে তার চারগুণ! যতটা তূলা লাগ্‌বে, তার ৮/১০ ভাগ নাইট্রেট্ অব্ পটাশ তূলার গায়ে

২২