আগুন দেয়—আমি তা’তেও রাজি। বরং রেণু রেণু হয়ে যাব—তবুও এক ইঞ্চি নড়্ব না। জয় গান্-ক্লাবের জয়—জয় যুক্তরাজ্যের জয়—জয় চন্দ্রলোকের জয়।”
সদস্যগণ সুরাপাত্র-করে কামানের অভ্যন্তরে গর্জ্জিয়া উঠিলেন,—“জয় গান্-ক্লাবের জয়—জয় যুক্তরাজ্যের জয়—জয় চন্দ্রলোকের জয়।”
তখন ধরণীপৃষ্ঠে সহস্র-কণ্ঠে ধ্বনিত হইল,—“জয় গান্-ক্লাবের জয়—জয় যুক্তরাজ্যের জয়—জয় চন্দ্রলোকের জয়।”
পাতালে ভোজন সমাপন করিয়া প্রফুল্ল ও গর্ব্বিতচিত্তে বার্বিকেন উপরে উঠিয়াই দেখিলেন, তাঁহার জন্য একখানি টেলিগ্রাম অপেক্ষা করিতেছে। বার্বিকেন ভাবিলেন, কেহ হয়ত আনন্দ জ্ঞাপন করিয়াছেন। টেলিগ্রামখানি খুলিয়া পড়িবামাত্রই বার্বিকেনের মুখশ্রী পাণ্ডুবর্ণ হইয়া গেল। রুমালে মুখ মুছিয়া তিনি আবার উহা পড়িলেন—আবার পড়িলেন—আাবার পড়িলেন! ভাবিলেন, অর্থ-বোধ হইল না! তাই ত’! এও কি সম্ভব!
বার্বিকেন কম্পিত-করে টেলিগ্রামখানি ম্যাট্সনের হস্তে দিলেন। ম্যাট্সন্ উচ্চ-কণ্ঠে পাঠ করিলেন,—
৩০ সেপ্টেম্বর—প্রভাত।
বার্বিকেন। টম্পানগর। ফ্লোরিডা। যুক্তরাজ্য।
আপনার গোলাকার গোলকের পরিবর্ত্তে ফাঁপা ডিম্বাকৃতি গোলা প্রস্তুত করুন। আমি উহার ভিতরে বসিয়া চন্দ্রলোকে যাইব! আমি আসিতেছি। আজই ‘আট্লাণ্টা’ জাহাজে লিভারপুল ছাড়িব।