পাতা:চন্দ্রলোকে যাত্রা - রাজেন্দ্রলাল আচার্য.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চন্দ্রলোকে যাত্রা

 মাইকেল আর্দ্দানের দুঃসাহসিকতায় উন্মত্ত জনসঙ্ঘ বার্বিকেনকে আর মঞ্চ হইতে নামিবার অবসর দিল না। তাহারা মাইকেল আর্দ্দান ও বার্বিকেনকে মঞ্চসহ স্কন্ধে তুলিয়া লইয়া মহা-সমারোহে জাহাজ-ঘাটার দিকে অগ্রসর হইল। মঞ্চ-বহনের গৌরব লাভ করিবার জন্য একটা বিষম কাড়াকাড়ি মারামারি লাগিয়া গেল!

 প্রশ্নকারী এই গোলযোগের সুযোগে পলায়ন না করিয়া মঞ্চের সঙ্গে সঙ্গে জাহাজ-ঘাটার দিকে অগ্রসর হইলেন।

 জনসঙ্ঘ যখন মঞ্চটী বহিয়া আনিয়া টম্পানগরের বন্দরে নামাইল তখন বার্বিকেন ও আর্দ্দান ভূপৃষ্ঠে অবতরণ করিলেন। বার্বিকেন দেখিলেন তাঁহার সম্মুখেই সেই প্রশ্নকারী! তিনি রুষ্টকণ্ঠে কহিলেন—

 “এদিকে আসুন—কথা আছে।”

 প্রশ্নকারী বিনা বাক্যব্যয়ে বার্বিকেনের অনুসরণ করিয়া সমুদ্রতীরের একটী নির্জ্জন স্থানে যাইয়া উপস্থিত হইলেন। বার্বিকেন তীব্রকণ্ঠে কহিলেন—

 “মহাশয়ের নাম জান্‌তে পারি কি?”

 “আমার নাম কাপ্তান নিকল্।”

 “নিকল্!”

 “হাঁ।”

 সহসা তথায় বজ্রপতন হইলেও বার্বিকেন এত চমকিত হইতেন না। তিনি কহিলেন—

 “আজই আমাদের প্রথম সাক্ষাৎ।”

 “আমি নিজেই সাক্ষাৎ কর্‌তে এসেছি!”

৪৮