পাতা:চন্দ্রলোকে যাত্রা - রাজেন্দ্রলাল আচার্য.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মাইকেল আর্দ্দান

একটা বিপরীত বেগ আস্‌বে। কাজেই আমি ধীরে ধীরে যেয়ে চন্দ্রলোকে প’ড়বো!”

 “আচ্ছা, ধরে নিলাম আপনি নির্ব্বিঘ্নে গেলেন—কিন্তু ফির্‌বেন কেমন ক’রে?”

 “এ-ই কথা! আমি যে আর ফিরবই না!”

 যাহারা শুনিল তাহারা স্তম্ভিত হইয়া গেল। ভাবিল—এ বলে কি!

 প্রশ্নকারী কহিলেন—

 “আমি দেখ্‌ছি আপনার ঘোর বিপদ অতি নিকটে। আপনি ভাব্‌ছেন না যে, যে মুহূর্ত্তে অতবড় একটা গোলা কামানের বাহির হবে, অমনি এমন একটা ধাক্কা লাগ্‌বে যে তা’তেই আপনার হাড়-গোড় ভেঙ্গে চুর্ণ হ’বে!”

 “এতক্ষণে আপনি একটী প্রকৃত বাধার কথা বলেছেন দেখ্‌ছি। তা’ সেজন্য কোনো চিন্তা নাই। আমার বন্ধু এর একটা উপায় ক’র্‌বেনই।”

 “কে তিনি, জান্‌তে পারি কি?” উত্তর হইল—“বার্বিকেন”।

 “যে নির্ব্বোধ এই অসম্ভব প্রস্তাবটী তুলে সমস্ত পৃথিবীটাকে মত্ত করেছে?”

 কাহারও আর বুঝিতে বাকি রহিল না যে প্রশ্নকারী বার্বিকেনকে লক্ষ্য করিয়াই এ কথা কহিলেন। বার্বেকিন আর আত্মসংযম করিতে পারিলেন না। মঞ্চ হইতে নামিয়া প্রশ্নকারীর দিকে ধাবিত হইবার উপক্রম করিতেই দেখিলেন প্রশ্নকারী জনসমুদ্রে বুদ্বুদের মত মিশিয়া গিয়াছেন।

৪৭