পাতা:চারিত্রপূজা (১৯৩০) - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহৰ্ষির আদ্যকৃত্য উপলক্ষ্যে প্রার্থনা br。 ভূমাকেই সপ্রমাণ করে। এই প্রার্থনা করো, ‘আবিরাবীর্ম এধি’-হে স্বপ্ৰকাশ আমার নিকটে প্ৰকাশিত হও-আমার নিকটে প্ৰকাশিত হইলে সেই প্ৰকাশ আমাকে অতিক্ৰম করিয়া সমস্ত মানবের নিকট সহজে দীপ্যমান হইয়া উঠিবে—এইরূপে আমার জীবন সমস্ত মানবের নিত্যজীবনের মধ্যে উৎসর্গীকৃত হইয়া থাকিবে ; আমার এই কয়দিনের মানবজন্ম চিরদিনের জন্য সার্থক হইবে । ΣΝΟΣ Σ মহৰ্ষির আদ্যকৃত্য উপলক্ষ্যে প্ৰাথনা “হে পরমপিতঃ, হে পিতৃতমঃ পিতৃণাম", এ সংসারে যাহার পিতৃভাবের মধ্য দিয়া তোমাকে পিতা বলিয়া জানিয়াছি-আদ্য একাদশ দিন হইল, তিনি ইহলোক হইতে অপসৃত হইয়াছেন। তাহার সমস্ত জীবন হোমহুতাশনের উৰ্দ্ধমুখী পবিত্র শিখার ন্যায় তোমার অভিমুখে নিয়ত উখিত হইয়াছে। অন্য র্তাহার সুদীর্ঘ জীবনযাত্রার অবসানে তুমি তাহাকে কী শান্তিতে, কী অমৃতে অভিষিক্ত করিয়াছ-যিনি স্বৰ্গকামনা করেন নাই, কেবল “ছায়াতপয়োরিব” ব্ৰহ্মলোকে তোমার সহিত যুক্ত হইবার জন্য র্যাহার চরমাকাজক্ষা ছিল, অদ্য তঁহাকে তুমি কিরূপ সুধাময় চরিতার্থতার মধ্যে বেষ্টন করিয়াছ, তাহা আমাদের মননের অগোচর, তথাপি হে মঙ্গলময়, তোমার পরিপূর্ণ মঙ্গল-ইচ্ছার প্রতি সম্পূর্ণ বিশ্বাসস্থাপন করিয়া তোমাকে বারবার নমস্কার করি। তুমি অনন্তসত্য, তোমার মধ্যে আমাদের সমস্ত সত্যচিন্তা নিঃশেষে, সার্থক হয়,-তুমি অনন্তকল্যাণ, তোমার মধ্যে আমাদের সমস্ত শুভকৰ্ম্ম সম্পূর্ণরূপে সফল হয়,-আমাদের সমস্ত অকৃত্ৰিম প্ৰেম, হে আনন্দস্বরূপ, তোমারই মধ্যে সুন্দরভাবে ধন্য,