চাৰুনীতি পাঠ । ૨(t “আছা, এক একটী ইন্দ্রিয় যে অনন্ত সুখের প্রস্রবণ, তাহা ত জানিতাম না ।” কোন সুখকর গ্রীষ্মের দিনে এন ডয়েল নামে এক বালিকা, তাহার খুড়ীমার সহিত নগর হইতে বাড়ী আসিতেছিল । ঐ খুড়ীমা এক গ্রাম্য বিদ্যালয়ের শিক্ষয়িত্রী ছিলেন। ছাত্রী দিগের জন্য কয়েক খানা “শ্লেট ও বই কিনিতে সে দিন তিনি নগরে গমন করেন । র্তাহারা উভয়ে বেড়াইতে বেড়াইতে গৃহাভিমুখে অগ্রসর হইলেন । কিছু দুর যাইবার পর, এনের খুড়ী নগরের বহির্ভাগে আসিয়া অবধি এনকে একটাও কথা বলিতে না শুনিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, এন, তুমি একেবারে নীরব কেন ? তুমি কি কিছু ভাবিতেছ ? এন্ বলিল, “হা, খুড়ীম, আমি ভাবিতেছিলাম যে, আমরা যে সকল উৎকৃষ্ট উৎকৃষ্ট অট্টালিকা অতিক্রম করিয়া আসিলাম, ইহাদের কোন একটীতে বাস করিলে এবং প্রচুর ধন থাকিলে আমাদের কত মুখ হইত । আমি মনোমত সামগ্রী কিনিবার জন্য দৈবাৎ কখনও এক অtধ পয়সা পাই, আহা ! অনেক ধন থাকিলে নগরের ঐ সকল দোকান হইতে কত সুন্দর ও উৎকৃষ্ট দ্রব্য কিনিতে পারিতাম”।* বালিকার এই কথা শুনিয় তাহার খুড়ী বলিলেন, “ এন্ ! আমি দুঃখিত হইলাম যে আজ প্রাতে আমার সহিত নগরে আসাতে তোমার মনে অসন্তোষের কারণ উপস্থিত হইয়াছে । বৎসে, তুমুি কি জাম না, আমাদিগের যাহা কিছু আছে ( ७ *)
পাতা:চারুনীতি-পাঠ.djvu/৩৪
অবয়ব