চাৰুনীতি পাঠ। 84 যত্নে ও অাদরে শশিকলার ন্যায় অয়দিন পরিবদ্ধিত হইতে থাকে। দেখিতে পাই কখন বা শিশু জননীর অঙ্ক-শয্যার শয়ান হইয়া উদ্ধে দৃষ্টি নিক্ষেপ করত অনন্ত প্রসারিত গগণমণ্ডলে চন্দ্র দেখিয়া কতই আনন্দ প্রকাশ করে, ফিক ফিক্ করিয়া হাসিতে থাকে। এই হাস্য বড় সরল ও মধুর। শিশুর অধরের এই বিমল হাস্য যদি তুলনায় বুঝিতে হয়, তাহা হইলে আমরা শরতের সুনীল আকাশের পানে তাকইয়া পূর্ণশশীর বিমল সৌন্দৰ্য্য-সাগরে মগ্ন হই, অথবা কোন নিভৃত প্রদেশে বিকসিত কুসুমটার পানে নেত্রপাত করিয়া থাকি, মৃদু মৃদ্ধ পবন-হিল্লোলে পুষ্পটী হেলিতেছে দুলিতেছে, নাসিকার তৃপ্তিকর গন্ধে চতুর্দিক আমোদিত করিতেছে, ইহাই মনে মনে ধ্যান করি । প্রকৃতির এই দুইটা দৃশ্য, যাহা কল্পনা করিলেও মনোমধ্যে কত শান্তি ও আনন্দের লহরী উঠিতে থাকে, যদি কেহ কখন দর্শন এবং অনুভব করিয়া থাকেন, তাহা হইলে তিনি শিশুর পবিত্র মুখমণ্ডলে চিত্তবিনোদন হায্যের কতক আভাস হৃদরঙ্গম করিতে পারেন । দেখিতে পাই, শিশু মাতার ক্রোড়স্থ হইয়া কখন বা হস্ত প্রসারণ করিতেছে, কখন বা জননীর বস্ত্রাঞ্চল টানিতেছে, কখনও বা স্বীয় অঙ্গুলি লেহন করিতেছে। দেখিতে দেখিতে শিশুর বাকশক্তির উদয় হয়, প্রথমে অস্কট ধ্বনি “ওয়া শব্দ এবং ক্ৰন্দন ভিন্ন শিশু আর কিছুই জানে না, ক্রমে অাধ আধ স্বরে মা, মা, বা, বা ইত্যাদি মধুর সম্বোধন করিতে শিক্ষা করে। তাহার পরে দেখি শিশু অল্পে অল্পে দুই একটা করিয়া কথা উচ্চারণ
পাতা:চারুনীতি-পাঠ.djvu/৫৬
অবয়ব