পাতা:চারুনীতি-পাঠ.djvu/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চাৰুনীতি পাঠ । 位(。 চঞ্চল, অস্থায়ী যে এই যিনি যশের উচ্চ মন্দিরে উঠিলেন, পরক্ষণে আবার তিনিই স্বদূরবর্তী নিম্ন ভূমিতে বিচরণ করি তেছেন, যশ যাহা পরের মুখের কথা মাত্র, যাহা এত অসার ভিত্তির উপর দণ্ডায়মান, সেই যশ কি আমার অমূল্য অনন্ত জীবনের উদেশ্যস্থল হইবে ? আবার দেখিতে পাই যশোলিঙ্গ, জীবদ্দশায় যাহা কিছু যশ উপার্জন করিয়া গেলেন তাহ হয় ত তাহার মৃত্যুর কিছু কাল পরেই অন্তহিত হইল ; লোকে ভুলিয়া আর তাহার নাম গ্রহণ করে না, কারণ তিনি এমন কিছু করেন নাই যদ্বারা তাহার স্মৃতি সকলের নিকট প্রিয় হয়, তাহার কার্য্যকলাপ মানব-হৃদয়ের উপর আধিপত্য করে নাই, কেমন করিয়া তাহার স্মৃতি চিরস্থায়ী হইবে ? অপরন্তু দেখিতে পাই প্রকৃত উদারচেতা মহাত্মাগণ যশের চাকচিক্যে মুগ্ধ না হইয় এমন সকল কাৰ্য্য করিয়াছেন যাহাতে র্তাহারা অমর খ্যাতিলাভ করিয়াছেন । মহাত্মা শাক্যসিংহ, চৈতন্য, নানক, কবীর, ঈশা, মুশ, মহম্মদ প্রভৃতি ধাৰ্ম্মিকগণ, অসংখ্য ধৰ্ম্মবীরগণ, যাহাদের শোণিতের উপর গিজ্জা, মসজিদ ও ধৰ্ম্ম মন্দির সকলের চূড়া সগৌরবে উদ্ধে দণ্ডারমান, তাহার জগতের নিকট পরিচিত, আদৃত হইবার ইচ্ছা ক্ষণমাত্র হৃদয়ে পোষণ না করিয়াও অাপনাদিগকে প্রাতঃস্মরণীয় করিয়া গিয়াছেন । যুগে যুগে মনুষ্যগণ র্তাহীদের অমানুষী :ক্রিয়। সকল পাঠ করিয়া অবাক হইতেছেন। তবে যশোলাভ করাই কি জীবনের এক মাত্র উদ্দেশ্য হইবে ? কখনই না । তৃতীয়তঃ, জ্ঞানাভিমানীর উত্তর বিচার করিয়া দেখিলে স্পষ্টই প্রতীতি হইবে যে, তাহার কথায় আমার হৃদয় কখনই