পাতা:চারুনীতি-পাঠ.djvu/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চাৰুনীতি পাঠ "وخلايمان ভারতের পুনরভু্যদয়েয় জন্য চরিত্রবান লোক চাই । .তাহারাই অশেষ বৈষম্য দূর করিয়া অধঃপতিত ভারতকে পুনরুথিত করিবেন । তবে আর কেন নিদ্রা যাও, সকলে জাগ্রত হও, আপন আপন চরিত্রের প্রতি দৃষ্টপাত কর, ধন অপেক্ষ ইহার সমাদর করিতে শিক্ষা কর –ইহাই ভারতের উত্থানের মূলশক্তি, ইহাই ভারতের দাড়াইবার অটল ভিত্তিভূমি, ইহাই ভারতের অভু্যখানের মূলমন্ত্র। সৌন্দর্ষ্য-তত্ত্ব। মানব-প্রকৃতি পৰ্য্যালোচনা করিলে দেখিতে পাওয়া যায় যে ইহা প্রধানতঃ বুদ্ধি এবং কতকগুলি প্রবৃত্তি লইয়া গঠিত হইয়াছে । অল্প চিন্তা করিলে স্পষ্টই প্রতীতি হইবে বে শোভাকুভাবকতা বা সৌন্দৰ্য্যবোধ উহাদের মধ্যে অন্যতম একটা প্রধান প্রবৃত্তি। মনুষ্য সমাজের প্রথমাবস্থা হইতে বৰ্ত্তমান কাল পর্য্যন্ত সকল দেশে, সকল সময়ে,সকল অবস্থায়, নরনারীর মধ্যে এই প্রবৃত্তির অল্পাধিক প্রমাণ প্রাপ্ত হওয়া যায় । অবশ্য ইহা ও স্বীকার্য্য যে, স্থান, কাল ও অবস্থা ভেদে সৌন্দর্য্যের আদর্শ অত্যন্ত বিসদৃশ—এমন কি পরস্পর সম্পূর্ণ বিপরীত ভাবাপন্ন হইয়াছে , কিন্তু তাই বলিয়া শোভানু ভাবকতা বৃত্তির আদৌ অসদ্ভাব হইতেছে এই প্রকার সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া কোনক্রমে যুক্তিসঙ্গত নহে। মানিলাল এক দেশের লোক যাহাকে সুন্দর বলিতেছে, অপর দেশের লোকু তাহাকে সুন্দর না বলিয়া তদ্বিপরীতকে সুন্দর নামে অভিহিত করিতেছে-যেমন ছোট পা,ছোট চোক, চেপট। মুখ,