এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অনতীন্দ্র। সেই অনতি শব্দটা স্নেহের কণ্ঠে অন্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে। তোমার কাছেও একদিন অতি হয়েছে অনতি, ইচ্ছে করে খুইয়েছে মান।”
হঠাৎ অতীন চমকে উঠে থেমে গেল। বললে, “পায়ের শব্দ শুনছি যেন।”
এলা বললে, “অখিল।”
আওয়াজ এল, “দিদিমণি!”
ছাদে আসবার দরজা খুলে দিয়ে এলা জিজ্ঞাসা করলে, “কী।”
অখিল বললে, “খাবার।”
বাড়িতে রান্নার ব্যবস্থা নেই। অদূরবর্তী দিশি রেস্টোরাঁ থেকে বরাদ্দমতো খাবার দিয়ে যায়।
এলা বললে, “অন্তু, চলো খেতে।”
“খাওয়ার কথা বোলো না। খেয়ে মরতে মানুষের অনেকদিন লাগে। নইলে ভারতবর্ষ টিঁকত না। ভাই অখিল, আর রাগ রেখো না মনে। আমার ভাগটা তুমিই খেয়ে নাও। তার পরে পলায়নেন সমাপয়েৎ—দৌড় দিয়ো যত পার।”
অখিল চলে গেল।
দুজনে ছাদের মেঝের উপর বসল। অতীন আবার শুরু করলে। “সেদিনকার জন্মদিন চলতে লাগল
১২৩