“কী বল তুমি ভায়া। এলাদি কথা বলে না! তােমার কাছে চুপ, কিন্তু যেখানে মুখ খােলে সেখানে বাণীর বন্যা। আমি তাে মাথাপাকা মানুষ, সাড়া পেলেই খাতাপত্র ফেলে আড়াল থেকে ওর কথা শুনতে আসি। এখন আমার প্রতি একটু মনােযােগ দিতে হবে। এলাদির মতাে কণ্ঠ নয় আমার, কিন্তু সংক্ষেপে যেটুকু বলব তা মর্মে প্রবেশ করবে।”
এলা তাড়াতাড়ি উঠে পড়ল। ইন্দ্রনাথ বললে, “যাবার আগে একটা কথা তােমাকে জানিয়ে রাখি। দলের লােকের কাছে আমি তােমাকে নিন্দে করে থাকি। এমন কি, এমন কথাও বলেছি, যে, একদিন তােমাকে হয়তাে একেবারে নিশ্চিহ্ন সরিয়ে দিতে হবে। বলেছি, অতীনকে তুমি ভাঙিয়ে নিচ্ছ, সেই ভাঙনে আরও কিছু ভাঙবে।”
“বলতে বলতে কথাটাকে সত্য করে তুলছেন কেন। কী জানি, এখানকার সঙ্গে হয়তাে আমার একটা অসামঞ্জস্য আছে।”
“থাকা সত্ত্বেও তােমাকে সন্দেহ করিনে। কিন্তু তবু ওদের কাছে তােমার নিন্দে করি। তােমার শত্রু কেউ নেই এই জনপ্রবাদ, কিন্তু দেখতে পাই তােমার বারাে আনা অনুরক্তের বাংলাদেশী মন নিন্দা বিশ্বাস করবার
৩৩