পাতা:চিকিৎসাসার.djvu/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> * > বিলাতি টাকা । অলপ দিন হইল এক প্রকার নুতন টীকা দেওন প্রকাশ হইয়াছে, তাহার বিস্তারিত বিবরণ লিখিতেছি । ঐ টীকার বীজ প্রথমে গরুর বসন্তহইতে উৎপন্ন হইয়াছে। এক্ষণে গরুর শরীরে বসন্তের টীকা দিলে তাহাতে যে বসন্ত হয়, সেই বসন্তের পুঁজ লইয়া মনুষ্যের শরীরে টাকা দিলে কেবল সেই টীকার উপরে একটী ফোস্কা হয়, ও তাহাতে স্বদেশীয় টীকার ন্যায় কোন যাতনা হয় না। ইহাকেই বিলাতি টীকা বলা যায়, আর এই প্রকার টীকা দিলে পুনরায় আর কখন বসন্ত হয় না। বিলাতি টীকা এই প্রকারে দিতে হয়, কোন লোকের অর্থাৎ যাহার টাকা স্থপক হয়, সেই টাকার পূজ লইয়া, যাহাকে ঐ প্রকার টীকা দেওনের মানস করিবে, তাহার দুই বাহুর উপরিভাগের উপর চৰ্ম্মকে কিঞ্চিৎ চিরিয়া দিবে, যেন কিঞ্চিৎ রক্ত দুশ্ব হয় । পরে তাহার ভিতরে বেলকারের দ্বারা পুঁজ লাগাইয়া দিবে। ইহার দ্বারা কেবল সেই টীকার উপরে একটী ফোস্কা হইবে, পরে অষ্টাহের মধ্যে ঐ ফোস্ক স্বপকু হইলে তাহার মুখে ছিদ্র হইবে, এবং পুঁজ নির্গত হইয়া শুষ্ক হইবে। পুনঃ অন্য কোন মনুষ্যকে ঐ প্রকার টীকা দিতে হইলে অষ্টম দিবসের মধ্যে উক্ত টাকার পূজ লইয়া উপর