পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভিন্ন, পদার্থ বা অপদার্থ ) অনুরোধে যে আজ লিখতে বসিনি তা নিশ্চয় জেন। আমার কৰ্ত্তব্যজ্ঞান এসব বিষয়ে এমনই সজাগ যে এইসকল ব্যাপার নিয়ে আমার উপর অনেক বন্ধুবরের অনুরাগ রাগে পরিণত হয়েচে । তাছাড়া এমন সময় কি কারো কৰ্ত্তব্যজ্ঞান জাগে ? তুমিই মনে কর দেখি ভাই— আমি আজ আপিস পালিয়ে আমার সেই ছেড় শতরঞ্চবিছান ঘরের এক কোণে লুকিয়ে বসে আছি। আমার দেহটাও নিতান্ত ছেড়া গোচের— এলিয়ে প’ড়চে । প্রাণটা কিছুই চায় না— তার কোন সাধ কবর্বার সাধও নাই— সাধ্যও নাই— আকাশে এই নিঝুম দুপুর বেলায় কে পাতলা মেঘের মশারি খাটিয়ে দিয়েছে— বৃষ্টি পড়চে কি না পড়চে— ঘরের প্রায় সব দরজা জানলা বন্ধ— তাতে বেশ একরকম অকাল সন্ধ্যা ক’রে অাছে— কেবল পাশের একটি জানলার আধখানা খোলা আছে– আর তারই ভেতর দিয়ে ভিজে বাতাস দুষ্টু ছেলের মত তার নিজের গায়ের জল আমার গায়ে ছিটিয়ে দিচ্চে— এমন সময়ে কি কারো কৰ্ত্তব্যজ্ঞান জন্মে ? এ নিতান্ত অকৰ্ত্তব্য কবর্বার সময় । কে বলবে এ সময়ে চাণক্য প্রভৃতি “বৃদ্ধস্ত বচনং গ্রাহং” । আমি কিন্তু ভাই কৰ্ত্তব্য অকৰ্ত্তব্য কিছুই না ক’রে নিতান্ত নিশ্চেষ্ট ভাবে শুয়ে থেকে বৃষ্টির রিম ঝিম শুনচি– আর তারই মাঝ থেকে এই মুছ-বৃষ্টির মৃত্যু-কোমল-সম্পাত-ময় শব্দে– প্রাণের ভিতর হঠাৎ কেমন তোমার সেই কোমল সহৃদয় পত্ৰখানি জেগে উঠল— তাতেই— আর stationeryগুলি নিতান্ত হাতের কাছে থাকার দরুণ এই 38 о