পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উভয়ের অন্তরঙ্গতার পরিচয় সুপরিস্ফুট। শ্ৰীশচন্দ্রর আগ্রহাতিশয়েই রবীন্দ্রনাথ নবপর্যায় বঙ্গদর্শনের সম্পাদনাভার ( ১৩০৮-১২ ) গ্রহণ করিয়াছিলেন । শ্ৰীশচন্দ্র নবপর্যায় বঙ্গদর্শনের প্রথম সংখ্যায় (বৈশাখ ১৩০৮ ) নিবেদনে লিথিয়াছেন— عقي ‘বঙ্গের প্রধান সাময়িক পত্র যে আমার হস্তে লোপ পাইয়াছিল, ইহাতে আমি বড় লজ্জিত ছিলাম।. স্থহত্তম শ্রযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় বঙ্গদর্শনের সম্পাদন-ভার গ্রহণ করিতে স্বীকৃত হওয়ায় আমি নিশ্চিন্ত হইয়াছি । তিনি যে উপকার করিলেন, তাহা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না ? শ্ৰীশচন্দ্র মজুমদারের সহযোগে রবীন্দ্রনাথ ‘মহাজন পদাবলীর মধ্যে সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট কবিতাগুলির একত্রসংগ্রহ’ ‘পদরত্নাবলী’ ( বৈশাখ ১২৯২ ) সম্পাদনপুর্বক প্রকাশ করেন ও ১৩০ ১ অগ্রহায়ণ-সংখ্যা ‘সাধনায় রবীন্দ্রনাথ শ্ৰীশচন্দ্রের ফুলজানি উপন্যাসের সুদীর্ঘ সমালোচনা -পূর্বক শ্ৰীশচন্দ্রের রচনার গুণ ও দোষ বিশ্লেষণ করেন ; প্রবন্ধটি পরে ‘আধুনিক সাহিত্য’ গ্রন্থের অন্তর্গত হয়। ছিন্নপত্রে প্রকাশিত ৩০ এপ্রিল ১৮৮৬ তারিখের পত্রেও রবীন্দ্রনাথ শ্রীশচন্দ্রের রচনার গুণ বিচার করিয়াছেন —‘আপনি আপনার কেতাবের মধ্যে আমাদের চিরপরিচিত বাংলাদেশের একটি সজীব মুতি জাগ্রত করে তুলেছেন, বাংলার আর কোনো লেখক এতে কৃতকার্য হন নি। রবীন্দ্রনাথ কল্পনা ( বৈশাখ ১৩০৭ ) কাব্যটি শ্ৰীশচন্দ্রকে উৎসর্গ করিয়াছিলেন । , , " শ্ৰীশচন্দ্র ও রবীন্দ্রনাথের সৌহার্দ্য উত্তরপুরুষেও প্রবহমাণ ছিল —শ্ৰীশচন্দ্রের পুত্রকন্যাগণ রবীন্দ্রনাথের বিদ্যালয়ে সস্তানস্নেহে বর্ধিত হইয়াছিলেন ; রবীন্দ্রনাথের প্রযত্নে বিদেশে শিক্ষালাভ করিয়া শ্ৰীশচন্দ্রের জ্যেষ্ঠ পুত্র সন্তোষচন্দ্র শান্তিনিকেতন বিদ্যালয়ের কর্মে আত্মনিয়োগ । ←ᏑᏫ ☾