পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সে কোথায় ঘুরে মরচে। ফিরে আয়, ফিরে আয়, বলে ডাক পড়েচে। একজন কে তার গান শুনতে ভালবাসে, আকাশের মাঝখানে তার আসন পাতা— সেই ত শিশুকালে তাকে বাঁশির দীক্ষা দিয়েছিল, নিশীথরাতের শেষ রাগিণী বাজানো হলে তার পরে তার বাশি ফিরে নেবে। আজ কেবলি সেই কথাই আমার মনে পড়চে ইতি ২০ সেপ্টেম্বর ১৯২৪ ভানুদাদা 9א 2) כי [২৩ সেপ্টেম্বর ১৯২৪] কলম্বো রাণু ভারতবর্ষ ছেড়ে এই খানিকক্ষণ হল সিংহলে এসেছি। কাল সকালে আমাদের জাহাজ ছাড়বে। আকাশ অন্ধকার। ঘন বাদলার মেঘ সকালবেলার সোনার আলো গণ্ডুষ ভরে পান করেছে, কেবল তার তলানি ছায়াটুকু বাকি আছে। দেশে থাকলে সকালবেলায় দিনের এই ছায়াবগুণ্ঠন ভালই লাগত। ইচ্ছে করত কাজকৰ্ম্ম বন্ধ করে মাঠের দিকে তাকিয়ে স্বপ্নরাজ্যে মনটাকে পথহারা করে ছেড়ে দিই, কিম্বা হয়ত গুনগুন সুরে নতুন একটা গান ধরে মেঘদূতের কবির সঙ্গে যথাসাধ্য পাল্লা দিতে বসতুম। কিন্তু এখানে মনটা কিবাগী, তার একতারাটা কোথায় হারিয়ে গেছে। “গানহারা মোর হৃদয়তলে" এই অন্ধকার যেন একটা ৰূপাকার মূর্খ্যার মত উপুড় হয়ে পড়ে আছে। সুদূর এবং সুদীর্ঘ যাত্রার দিনের মুখে আকাশ থেকে সূর্যোব আলো দেবতার অভিনন্দনের মত বোধ হয়— আজ মনে হচ্ছে ২৯৪