পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>br● ?? মে ১৯৩০] {লন্ডন} কল্যাণীয়াসু রাণু, তোর কুলপ্রদীপের জন্ম বিবরণ পূৰ্ব্বেই শুনেছি। চিঠি লিখব স্থির করেছিলুম কিন্তু বক্তৃতার পর বক্তৃতা চলচে এতদিন মুহূৰ্ত্তের জন্যে ছুটি পাই নি। অক্সফোর্ডের পালা শেষ হওয়াতে এই অবকাশবিরল দেশে অল্প একটু ফাক পেয়েছি। দূরের থেকে নবকুমারকে আশীৰ্ব্বাদ পাঠাচ্চি। তোরই মত আকার প্রকার হয়েচে শুনে অবধি উদ্বিগ্ন হয়ে আছি এই দুৰ্দ্দস্তি মানবকে সামলাবি কী করে। এখন থেকে মাথায় কবিরাজি তেল মাখাতে থাকিস্। দেশে ফিরে গিয়ে তার সঙ্গে পরিচয় স্থাপন করবার চেষ্টা করব। তোর ভানুদাদাকে সে মানবে কি না সন্দেহ করি— তার একাধিপত্যে কোথাও একটুমাত্র কম পড়লে বোধ হয় সে অনর্থপাত করবে। অত্যন্ত গোলমাল যদি দেখি তো হার মানব— দূরে দূরেই থাকব। তোর কন্যা” যদি এখন থেকে ছড়া কাটতে আরম্ভ করে তাহলে একদিন এই প্রবীণ ছড়া-কাটিয়ের সঙ্গে নবীনার বিরোধ বাধবে। আমি তো এতদিন দেখে আসচি দেশে যে-কেউ ছড়া কাটতে আরম্ভ করেছে আমাকে গাল না দিয়ে জল গ্রহণ করেনা। তাই কিছু দিন থেকে ছড়া কাটা একেবারে বন্ধ করে দিয়েচি। তার বদলে ছবি আঁকা ধরেছি। ভয়ে ভয়ে দেশের লোককে দেখাই নে— পাছে ছবি আঁকিয়েদের মহলেও ভ্ৰকুটির সৃষ্টি হয়। আজ এই পর্যন্ত। [জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৭] ভানুদাদা లవtు